সেতু পেলেও এলাকাবাসীর দূর্ভোগ যেন আরও বেড়েছে – News Portal 24
ঢাকাTuesday , ২১ মার্চ ২০২৩

সেতু পেলেও এলাকাবাসীর দূর্ভোগ যেন আরও বেড়েছে

মামুন আব্দুল্লাহ, বিশেষ প্রতিনিধি
মার্চ ২১, ২০২৩ ১১:০০ অপরাহ্ন
Link Copied!

দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়ন এর ইয়ারপুর সন্তোষ খানের বাড়ির সামনে ৩১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে সেতু। সেতুর চার পাশেই গভীর পানি।দেখে মনে হয় পুকুরের উপর দ্বাড়িয়ে আছে সেতু। সেতুতে উঠার কোন ব্যবস্হা নেই। সেতুর উপর দিয়ে চলাচল না থাকায় দুই পাশের সড়কেরও বেহাল অবস্থা। জঙ্গলে ভরপুর হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর একটি সেতু পেলেও এলাকাবাসীর দূর্ভোগ যেন আরও বেড়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ২০১৮/১৯ অর্থ বছরে দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা অধিদপ্তরের সেতু/ কালভার্ট নির্মান প্রকল্পের অধিনে ৩১৫০৯৫৪ টাকা ব্যয়ে ৩৮ ফুট দৈর্ঘের ভবানীপুর – দৌলতপুর সড়কের ইয়ারপুর সন্তোষ খানের বাড়ির সামনে মেসার্স নাসির ব্রাদার্স সেতুটি নির্মান করেন।বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। সেতুটির ২০১৮/১৯ অর্থ বছরে কাজ শুরুর কথা থাকলেও শুরু হয় ২০২০ সালে। বর্ষার সময় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে তড়িঘড়ি করে দুই পাশে মাটি না ফেলেই ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে চলে যায়।

ভবানীপুর, বহড়া বাড়ি, ইয়ারপুর,ঘোনা টেপরী, টেপরী, বহড়া, চন্দ্রখোলা, ধামস্বর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত এই সড়ক দিয়ে। সেতু নির্মান শুরুর পর থেকেই এখান দিয়ে গাড়ি ঘোড়া চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আগে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করা গেলেও এখন সে উপায় নেই। ওই সড়কে পায়ে হাঁটাই এখন কষ্টকর। নতুন সেতুই যেন এখন কাল হয়ে দাড়িয়েছে এলাকাবাসীর।

বহড়া বাড়ি গ্রামের কায়সার হামিদ বলেন, আমি এই সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতাম। সেতুর কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়েছে। এখন সেতু হওয়ার পর যেন সমস্যা আরও বেড়েছে। আমরা ঠিকাদারকে অনেক অনুরোধ করেছিলাম মাটি ফেলার জন্য কিন্তু সে কারও কথা না শুনে কাজ বন্ধ করে চলে যায়।

সেতুর দক্ষিণ পাশের বাড়ির শখিমুদ্দিন বলেন, ব্রীজ হওয়ার আগেই ভাল ছিল। বর্ষার দুই তিন মাস পানি থাকলেও অন্য সময় শুকিয়ে যেত তখন মোটরসাইকেল, ঘোড়ার গাড়ি চলাচল করতো। বাড়ির পাশে ব্রিজ দিয়ে চলাচল না থাকায়, বাড়ি করার সময় আমাকে অনেক কষ্ট করে অন্য রাস্তা দিয়ে ইট বালি সিমেন্ট আনতে হয়েছে। এতে আমার খরচও অনেক বেশি লেগেছে। ব্রিজটি এখন এলাকাবাসীর জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেতু সংলগ্ন সন্তোষ খানের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন বলেন, অনেক স্বপ্ন ছিল আমাদের বাড়ির সামনে খালের উপর একটা সেতু হবে। সেতু ঠিকই হয়েছে কিন্তু চলাচলের কোন ব্যবস্থা নাই। সেতু হওয়ার আগে খালে হাঁটু পানির বেশি থাকতো না। আমরা হেঁটেই পার হতে পারতাম। সেতুর পিলার বসানোর সময় মাঝখানের মাটি কেটে ফেলায় এখন অনেক পানি। নৌকা ছাড়া পাড় হওয়ার কোন উপায় নাই। সেতুটি সংস্কার হলে আমরা বেঁচে যেতাম।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মোমিনুর রহমান বলেন, বর্ষার কারনে দুই পাশে মাটি না থাকায় আপাতত মাটি ফেলা সম্ভব হচ্ছে না।আগামী মৌসুমে নতুন বরাদ্দ পেলেই সেতুর দুই পাশে এবং সংযোগ সড়ক মেরামত করা হবে।