সরকার বিরোধী টানা কর্মসূচিতে ভালো নেই সিলেটের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে সরকারি দলের নির্বাচনী প্রস্তুতিতে আরও মারমুখো পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন সিলেটবাসী। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য উভয় পক্ষকে নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এক দফা দাবিতে সরকার বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনার পর টানা হরতাল-অবরোধে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছেন সিলেটের বন্দরবাজার এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, হরতাল-অবরেধে ব্যবসা প্রায়ই বন্ধ। পরিবার নিয়ে চলাই মুশকিল হয়ে পড়েছে।
২৯ অক্টোবর থেকে হরতাল-অবরোধে সিলেট অঞ্চলে পর্যটন, পরিবহনসহ সব মিলিয়ে অন্তত ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমদ জানান, নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক সহিংসতা শুরু হয়েছে। সহিংসতার কারণে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এবারের অবরোধে সিলেটে প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
সিলেটের ট্যুর অপারেটর হুমায়ূন কবির লিটন জানান, হরতাল-অবরোধের কারণে পর্যটন খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। হোটেল, মোটেল, রিসোর্টগুলো খাঁ খাঁ করছে। পর্যটনের সঙ্গে জড়িত পরিবহনসহ অন্তত ১২টি খাত ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।
একদিকে, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারি দলের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ। অন্যদিকে, সরকার বিরোধী পক্ষের জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি। এতে পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।
এ অবস্থায় সিলেট নগরবাসী মনে করেন, হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে না। জনগণের কথা বিবেচনায় এনে উভয় পক্ষকে পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান জিন্দাবাজারের ব্লু ওয়াটার শপিং সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মলয় দত্ত মিঠু।