সাবেক স্ত্রীর পরকীয়া সইতে না পেরে শাশুড়িকে হ ত্যা, আটক ২ - News Portal 24
ঢাকাTuesday , ৭ নভেম্বর ২০২৩

সাবেক স্ত্রীর পরকীয়া সইতে না পেরে শাশুড়িকে হ ত্যা, আটক ২

নিউজ পোর্টাল ২৪
নভেম্বর ৭, ২০২৩ ৯:৫১ অপরাহ্ন
Link Copied!

পঞ্চগড়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর পরকীয়া সইতে না পেরে শাশুড়িকে গ লা কে টে হ ত্যা র পর বাড়ির উঠানে মাটি চাপা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনার পর পরেই অভিযান চালিয়ে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত নিহতের জামাই মুকুল চন্দ্র রায়সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসভার মধ্যপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধার মাটি চাপা দেয়া ম র দে হ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জামাইসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় হ ত্যা কা ণ্ডে ব্যবহৃত আলামত জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। পরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

আসামিরা হলেন- নীলফামারীর জলঢাকা বালাগ্রাম চন্ডীহাটি এলাকার চিন্তা ঋষির মেয়ের জামাই মুকুল চন্দ্র রায় (৩৬) ও একই জেলার ডিমরার উত্তর সোনাখুলি এলাকার চিন্তা ঋষির নাতনী জামাই মহাদেব ঋষি (২৫)।

পুলিশ জানায়, পূর্বের বিয়ের কথা গোপন রেখে ৭ বছর আগে চিন্তা ঋষির মেয়ে রেনুর সঙ্গে বিয়ে হয় মুকুলের। এর মাঝে আগের বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ পেলে মুকুলকে তালাক দেন রেনু। এদিকে কাজের সন্ধানে রেনু ঢাকায় গিয়ে আল আমিন নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এর মাঝে তারা দেবীগঞ্জে আসলে মুকুল বিষয়টি জানতে পারে। আর এই পর‌কীয়ার জেরে রেনুকে হু ম কি দিয়ে এই হ ত্যা র ঘটনা ঘটনো হয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, ওই ভিক্ষুক বৃদ্ধাকে প্রথমে গলা কেটে ও শরীরে আ ঘা ত করে হ ত্যা র পর মহাদেব ঋষির সহায়তায় পরিত্যাক্ত রিং স্লাবের ফেলে মাটি চাপা দেয়া হয়।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর (সোমবার) দুপুরে দেবীগঞ্জ পৌরসভার মধ্যপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধার মাটি চাপা দেয়া ম র দে হ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা দুর্গন্ধ পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর আত্মীয়-স্বজনসহ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে থানা হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদের মাঝে তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে জিজ্ঞাসাবাদে থাকা এই দুই আসামি হত্যাকান্ডের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে নিহতের মেয়ে অভিযোগ করলে হ ত্যা মামলা দায়েরের পর তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস বলেন, ঘটনাটি প্রায় ক্লুলেস অবস্থায় ছিল। তারপরেও আমরা তৎপর হয়ে মাঠে নেমে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসামি দুইজনকে গ্রেপ্তার করি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হ ত্যা র বিষয়টি স্বীকার করেছে।