আধুনিক জীবনধারায় মোবাইল ফোন একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যোগাযোগ সহজ করার পাশপাশি গোটা বিশ্বটাকেই যেন হাতের মুঠোই নিয়ে এসেছে প্রযুক্তির এই অপার বিস্ময়। তবে উপকারের পাশাপাশি মোবাইল ফোনের অতি ব্যবহারের স্বাস্থ্যগত ক্ষতিকর দিক নিয়েও বারবার সতর্ক করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার বিজ্ঞানীরা জানালেন আরেকে ভয়াবহ আশঙ্কার কথা।
সম্প্রতি এক গবেষণার বিজ্ঞানীরা বলছেন, মোবাইল ফোন খুব বেশি ব্যবহার করলে শুক্রাণুর ঘনত্ব কমে যেতে পারে। তবে এ ক্ষতির জন্য যে মোবাইল ফোনকে শতভাগ দায়ী করার মতো প্রমাণ এখনও পাননি তারা ।
যদিও সুইস বিজ্ঞানীরা প্রায় ১৩ বছর গবেষণার ভিত্তিতে যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন, তা আমলে নিলে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ফার্টিলিটি এবং স্টেরিলিটি জার্নালে গত সপ্তাহে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২ হাজার ৮০০ তরুণের বীর্য পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যারা মোবাইল ফোন বেশি ব্যবহার করেন, তাদের শুক্রাণুর ঘনত্ব অন্যদের তুলনায় যথেষ্ট কম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবার বীর্যে শুক্রাণুর মটিলিটি এবং কী ধরনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে কী মাত্রায় শুক্রাণুর ঘণত্ব কমতে পারে তা এখনও জানতে পারেননি গবেষকরা।
পুরুষদের শুক্রাণুর ঘনত্ব হ্রাসের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ধূমপান, মুটিয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত মদ্যপান, মানসিক বিষাদসহ বেশ কিছু বিষয়ের উল্লেখ করে আসছিলেন বিজ্ঞানীরা। মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়টির সঙ্গেও এর সম্পর্ক থাকতে পারে বলে সুইস বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
১৩ বছরের গবেষণায় যে বিষয়টিকে খুব উল্লেখযোগ্য মনে করা হচ্ছে, তা হলো গবেষণা শুরুর শুরুর দিকের চেয়ে শেষের দিকে শুক্রাণুর ঘনত্ব হ্রাসের মাত্রা অনেক কমে যাওয়া। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, টু-জি প্রযুক্তি থেকে থ্রি-জি, ফোর-জি এবং ফাইভ-জি প্রযুক্তিতে উত্তোরণের কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে।