কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) চাকরি ফেলে ফ্রান্স চলে গেছেন মনোয়ারা সাকি নামের এক কর্মচারী। তিনি স্থানীয় রাজনীতের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন। বিনা ছুটিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিতি থাকার সাড়ে সাত মাস পর কুবি কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ করেছে।
গত বৃহস্পতিবার লিখিত অপসারণের অফিস আদেশ দেওয়া হলেও বিষয়টি জানাজানি হয়েছে আজ শনিবার। অপসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুবি রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী।
তিনি জানান, কুবি কর্মচারী মনোয়ারা সাকিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদেও রয়েছেন। চলতি বছরের ২ এপ্রিল থেকে ছুটি ছাড়া তিনি কাজে অনুপস্থিত রয়েছেন।
মনোয়ারা সাকি কুবির এস্টেট শাখার কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন।
১৬ নভেম্বর লিখিত অপসারণের অফিস আদেশে বলা হয়, দুই মাসের বেশি সময় অনুপস্থিত থাকলে তাকে পলায়ন হিসেবে গণ্য করা হয়। একাধিকবার মনোয়ারা সাকিকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি। ৯ অক্টোবর সিন্ডিকেটের সভায় অপসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে মনোয়ারা সাকিকে দেখা গেছে তিনি ফ্রান্সে রয়েছেন। সেখানে আইফেল টাওয়ারের পাশে দাঁড়ানো ছবি ১০ নভেম্বর আপলোড দিয়েছেন। ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘স্বপ্ন দেখো মন থেকে, ইনশাল্লাহ তা পূরণ হবেই।’
মনোয়ারা সাকির বাবা আবুল খায়ের জানান, মনোয়ারা সাকি প্রায় এক বছর ধরে ফ্রান্সে রয়েছেন। তবে অনুপস্থিতির কারণে মনোয়ারা সাকির চাকরি থেকে অপসারণের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।