কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালারহাট আর্দশ স্কুল এন্ড কলেজের কারিগরি শাখার এইচএসসির শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের টালবাহানা। এক মাস পর অভিযোগের ভিত্তিতে ভর্তি নিলেন শিক্ষার্থীরা। সময়মত ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি না করায় ক্লাশ বঞ্চিত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৬সালে ওই কলেজের এইচএসসির কারিগরি শাখা (বিএম) পাঠদানের অনুমতি হয়। অনুমতি প্রেক্ষিতে এইচএসসি কারিগরি শাখার ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করে পাঠদান চালু রেখে আসছিল অধ্যক্ষ।
ইতিমধ্যেই ৬টি ব্যাচের ১৭৬জন শিক্ষার্থীরা এ কলেজে থেকে এইচএসসি কারিগরি শাখায় পাস করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রয়েছে। শিক্ষক কর্মচারী থাকলে চলতি বছর ভর্তি নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দাবী ক্লাশ রুমের সংকট ও এনটিআরসির শিক্ষক নিয়মিত কলেজে না আসায় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কারিগরি শাখাটি বন্ধ করে দেয়া প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে প্রতিবছরের ন্যায় অনলাইনে বালারহাট আর্দশ স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি কারিগরি শাখা ২০২৩-২৪ শিক্ষার্বষের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নিশ্চয়ন করেছেন ১৪জন শিক্ষার্থী।
তারা ভর্তির জন্য কলেজে আসেন। কিন্তু ভর্তি হতে পাচ্ছেন না কলেজে। ভর্তি নিয়ে টালবাহানা অধ্যক্ষ করায় চরম হতাশায় পড়ের শিক্ষার্থীরা। এই ভাবে চলে যায় এক মাস ধরে শিক্ষার্থীর ক্লাশ। পরে ওই কলেজের কারিগরি শাখা প্রদর্শক মুকুল মিয়া জেলা প্রশসাকসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ নিয়ে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত টিম করা হয়।
এইচএসসির কারিগরি শাখার শিক্ষার্থী শিল্পী খাতুন ও মাসুদ রানা জানান, অনেক আগে অনলাইনে বালারহাট আর্দশ স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি কারিগরি শাখায় ভর্তির জন্য নিশ্চয়ন করেছি। কিন্তু অধ্যক্ষ স্যার এক মাস আগে আমাদের ভর্তি নেয়নি। বুধবার আমরা ভর্তি হয়েছি।
ওই কলেজের প্রদর্শক মুকুল মিয়া জানান, আকস্মিক ভাবে অধ্যক্ষ মহোদয় কারিগরি শাখা বন্ধ রাখার ঘোষনা দেন। ছাত্রছাত্রীরা কলেজে আসলেও তিনি ভর্তি করবেন না বলে জানান। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।
বালারহাট আর্দশ স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান সরকার জানান, ২০১৮ সালে এনটিআরসি থেকে ৩জন শিক্ষক যোগদান করার পর থেকে ওই শিক্ষকরা কলেজে আসেন না। তা ছাড়াও ক্লাশ রুমের সমস্যা থাকায় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কারিগরি শাখাটি প্রাথমিক ভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। পরে আবার চালু করা হয়েছে।এখন শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছেন।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার সিব্বির আহমেদ জানান, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া গ্ৰহণ করা হবে।