হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় দৌলতপুর উপজেলায় ওমেন ফিল্যান্সসিং (ডিজিটাল মার্কেটিং গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট) প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজন অনুষ্ঠিক হয়েছে।
আজ সোমবার (০৬ নভেম্বর) সকালে ১০ঘটিকার সময় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় দৌলতপুর উপজেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৮০জন নারীকে হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় ওমেন ফিল্যান্সসিং ডিজিটাল মার্কেটিং গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ ৬মাস ব্যাপি প্রশিক্ষণ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মানিকগঞ্জ- ১ আসনের সংসদ সদস্য এ. এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান একেএম নাসির উদ্দিন আবুল, আইসিটি কর্মকর্তা রনজিত মন্ডল, সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শাহ আলম, ট্রেইনার মোঃ মোবারক হোসেন, ফরহাদ রব্বানী, ফাহিম সেখ প্রমুখ।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের চাহিদা অনেক অংশে কমিয়েছে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং। এটি এমন একটি পেশা যেখানে কাজ করার কোনো ধরাবাঁধা সময় নেই। আপনার যখন ইচ্ছা, যেখানে ইচ্ছা কাজ করতে পারেন।এখানে আপনার শুধু দরকার একটি নির্দিষ্ট ফিল্ডে দক্ষতা অর্জন করা। ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর আওতা অনেক বড়। ফটো এডিটিং থেকে শুরু করে ভিডিও বানানো, এডিট করা ভিডিও সহ গ্রাফিক্স ডিজাইনের সকল বিভাগই এর আওতাভুক্ত। এছাড়া ওয়েব ডিজাইন, কোডিং, এনিমেশন তৈরি, ব্লগিং সহ অনেক কাজ আপনি এখানে পেয়ে যাবেন।
যাহোক, এ বিষয়ক সব কিছুই আমরা এই আর্টিকেলটিতে তুলে ধরবো। এখানে আমাদের আলোচ্য বিষয় ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন। তো দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।ফ্রিল্যান্সিং হলো ফ্রিল্যান্সিং মূলত এমন একটি পেশা যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি সাধারন চাকরির মতোই, কিন্তু ভিন্নতা হলো এখানে আপনি আপনার স্বাধীন মতো কাজ করতে পারবেন। দেখা গেলো আপনার এখন কাজ করতে ইচ্ছা করছে না; আপনি করবেন না। যখন ইচ্ছা করবে তখন আবার চাইলেই করতে পারবেন। ধরাবাঁধা কোনো অফিস টাইম নেই। এরপরে এখানে আপনার নির্দিষ্ট কোনো ইমপ্লয়ার নেই। যখন যে বায়ারের কাজ নিবেন তখন সে-ই আপনার ইমপ্লয়ার। সাধারণ চাকরি থেকে এখানে আরেকটি বিষয়-এর ভিন্নতা আছে। সেটি হলো কাজের স্থান। ফ্রিল্যান্সিং এর নির্দিষ্ট কোনো অফিস নেই। মূলত আপনার বাড়িই হচ্ছে আপনার অফিস।এখানে বসেই আপনি বিভিন্ন দেশের বায়ারদের সাথে কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে খুব সহজেই সরকারি বেসরকারি অনেক চাকরির থেকে বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন আপনার যদি যথেষ্ট পরিমাণে দক্ষতা থাকে।
এটা আমরা সবাই জানি যে, আমাদের দেশে দক্ষতার কদর হয় না সেভাবে; কিন্তু বাইরের দেশ গুলোতে হয়। আপনি সেসব দেশের বায়ারদের সাথে কাজ করে বাংলাদেশের তুলনায় দ্বিগুণ/তিনগুণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তাই আপনারা ভালো করে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে ইনকাম শুরু করেন এই প্রত্যাশা রইল সবার প্রতি।