লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তালুক শাখাতী প্রাথঃ বিদ্যালয়ে নেই দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের নাম - News Portal 24
ঢাকাSunday , ১ অক্টোবর ২০২৩

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তালুক শাখাতী প্রাথঃ বিদ্যালয়ে নেই দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের নাম

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি, লালমনিরহাট
অক্টোবর ১, ২০২৩ ৩:০২ অপরাহ্ন
Link Copied!

রবিবার (১০ অক্টোবর) লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তালুক শাখাতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রকৃত দাতা সদস্যের তলফের আবেদন জমা হয়েছে উপজেলা চেয়াম্যান বরাবর। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে আবেদনকারীর সাথে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে তথ্য উৎঘাটন করা হয়।

এর আগে গত ২৭/০৯/২০২৩ইং তারিখে উক্ত বিদ্যালয়ে আরও একটি আবেদন জমা করে ২নং মদাতী ইউনিয়নের তালুক শাখাতী গ্রামের বীরমুক্তি যোদ্ধা এবিএম আব্দুল মান্নান। তিনি উক্ত বিদ্যালয়ের নিয়মতান্ত্রিক ভাবে কমিটি গঠেন প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এ আবেদন দাখিল করেন।

আবেদনের বিষয়ে ধীরেন্দ্র মোহন পিতাঃ মৃতঃ কামিনী মোহন এর বক্তব্য, বিদ্যালয়ে আমার পিতার নিজ নামীয় জমি দান করেন এবং বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন যাহার সিএস খতিয়ান নং ৬৮৮ দাগ নং ২৬৮৯ মালিক-কামিনী মোহন রায় এবং উক্ত দাগের এস এ খতিয়ান নং ৯৭৭ মালিক তালুক শাখাতী প্রাথমিক বিদ্যারয়। আমার (ধীরেন্দ্র মোহন রায়) পিতার মৃত্যুর পর আমি ১৯৭৮ সালা পর্যন্ত দাতা সদস্য হিসেবে সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় সে সময় মোঃ জহিরুল ইসলাম পিতাঃ মৃতঃ আব্দুল জব্বার আমাকে অপমান করে গায়ের জোরে বিদ্যালয় ম্যানেজিং ও দাতা সদস্য থেকে বের করে দেন, শুধুমাত্র সংখ্যা লঘু বলে। ইতঃমধ্যে জানতে পারলাম যে মোঃ জহিরুল ইসলামের ছেলে মোঃ আবু হানিফ চয়ন অবৈধ ভাবে সভাপতি হয়ে বিদ্যালয়ের সম্পদ আত্বসাৎ করছে ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কে বিভিন্ন ভাবে অমানবিক হয়রানী করেছে।

আরও জানতে পারলাম যে প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় মোঃ আবু হানিফ চয়ন অবৈধ ভাবে দাতা সদস্য হওয়ার পায়তারা করছে। প্রকৃত দাতা হলে আমি ও আমার পরিবার হবে। মোঃ আবু হানিফ চয়ন কিভাবে দাতা সদস্য হবে তা আমরা জানতে চাই। এরকম কু-রুচিপূর্ন কাজের আমি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

অপর আবেদনের বিষয়ে বীরমুক্তি যোদ্ধা এবিএম আব্দুল মান্নান এর বক্তব্য, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.বি.এম আব্দুল মান্নান অত্র ওয়ার্ডের একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা। আমার দুই মেয়ে উক্ত বিদ্যালয়ে বেশ কিছুদিন যাবত সহকারী শিক্ষক পদে অত্যন্ত সু-নামের সহিত শিক্ষকতা করে আসছে। কিন্তু নিজ স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে গত কমিটিতে মোঃ আবু হানিফ চয়ন প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে সভাপতি হিসেবে মনোনিত হয়। সভাপতি হওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ে সরকারের উন্নয়ন বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থ ও বিদ্যালয়ের অন্যান্য সরকারী সম্পদ প্রধান শিক্ষক সহ উভয়ে সম্পূর্ন আত্মসাৎ করে।

এসবের প্রতিবাদ করায় যথারীতি আমার মেয়েদেরকে বিভিন্ন ভাবে অপমান অপদস্ত করে আসছে এবং বিদ্যালয়টিকে ব্যাক্তিগত সম্পত্তিতে রুপান্তর করেছে। ইতঃমধ্যে জানতে পারলাম যে নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান।

তিনি এবারো অবৈধ ভাবে সভাপতি হওয়ার পায়তারা করছে। এখন যেহেতু প্রকাশ পেয়েছে যে, তেনার সন্তান এ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করেন না, তাই তিনি অবৈধ ভাবে দাতা সদস্য হওয়ার পায়তারা করছে। প্রকৃত দাতাকে বাদ দিয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু হানিফ চয়ন কে দাতা সদস্য করার পরিকল্পনা করছে। যার কারনে এখন পর্যন্ত বিদ্যালয়ের জমি নামজারী করেন নাই। কারন যাহাতে প্রকৃত দাতা বের হয়ে আসবে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং এই ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বিদ্যালয়টিকে মুক্তির আবেদন করছি।

অতএব, জনাবের নিকট আকুল আবেদন এই যে, প্রকৃত দাতা অনুসন্ধান করে কিংবা নামজারী করার পরে দাতা সদস্য নির্ধারণ করতে জনাবের মর্জি হয়।