মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার ফেচুয়াধারা গ্রামের মোঃ রজ্জব আলীর মেয়ে ছদ্ম নাম রিয়া আক্তার (১৩) কে অপহরণের অভিযোগে মানিকগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিস পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় হরিরামপুর উপজেলার ভাদিয়া খোলা গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ছাত্র মোঃ রাব্বি (২০) কে প্রধান আসামী করে তার সহযোগী শেখ হাবো, মোঃ উজ্জল এবং মোঃ আসিফ সহ অজ্ঞাত নামা আরও ২ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে।
মামলা এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে,
অপহরণ হওয়া রিয়া আক্তার (ছদ্ম নাম) ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। অপহরণ হওয়া শিক্ষার্থী স্কুল এবং প্রাইভেটে যাতায়াতকালে অভিযুক্ত মোঃ রাব্বি (২০) তাকে রাস্তায় দাড় করিয়ে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব এবং কু-প্রস্তাব দিলে স্কুল পড়ুয়া রিয়া আক্তার তার বাবাকে জানান। তার বাবা অভিযুক্ত রাব্বি’র বাবাকে উত্যক্ত করার বিষয়ে জানালে রাব্বি রাগান্বিত হয়ে রিয়া আক্তারকে তার সহযোগীদের সহযোগিতায় গত ১৫’ই জুলাই সকালে ঝিটকা বাজার গরু হাটা থেকে অপহরণ করে। অন্যান্য আসামীর সহযোগিতায় অপহরণ করার পর মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে নাবালিকা রিয়া আক্তারকে জোরপূর্বক বিয়ে করেন।
অপহরণ হওয়া নাবালিকা মেয়ের বাবা মোঃ রজ্জব আলীর বলেন, আমার মেয়েকে বখাটে রাব্বি বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিলে আমার মেয়ে আমাকে জানায়। আমি রাব্বির বাবাকে এই বিষয়ে অবগত করলে। রাব্বি তার দল-বল নিয়ে আমার মেয়েকে অপহরণ করে জোর পূর্বক বিয়ে করে। আমি এ খবর পাওয়ার পর রাব্বিদের বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় আমার মেয়ের খোঁজ করি কোথাও খুঁজে না পেয়ে মানিকগঞ্জ কোর্টে মামলা করি। মেয়ে ফেরত দেওয়ার কথা তাদেরকে বললে তারা ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন অন্যথায় আমার মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। জানিনা আমার মেয়ে কেমন আছে আমার এই নাবালিকা মেয়েকে আমি ফেরত চাই।
অপহরণকারী রাব্বির এবং তার বাবা মোঃ জব্বার আলীর সাথে বার-বার বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে হরিরামপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ তোফায়েল আহম্মেদ মুঠোফোনে জানান, মানিকগঞ্জ কোর্টে মামলা হয়েছে। অপহরণকারীদের মধ্যে থেকে মামলার ২ নম্বর আসামী শেখ হাবো কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।