স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার ৪০% শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। শনিবার (১৯ আগস্ট) দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে শুল্ক আরোপের এ সিদ্ধান্তেরর খবর জানায়। এ সিদ্ধান্ত কেবল আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ভারতে গত কয়েক মাস ধরে পেঁয়াজ ও টমেটোর দাম তুলনামূলক বেশি। এরই মধ্যে পেঁয়াজের দাম গত বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এবার রপ্তানিতে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভোক্তা বিষয়ক সম্পাদক রোহিত কুমার সিং বলেন, অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতেই বাড়তি এ শুল্ক আরোপের পথে হেঁটেছে মন্ত্রণালয়। এতে করে পেঁয়াজের দামেও লাগাম টেনে ধরা যাবে।
ভারতে শনিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ দশমিক ৭২ রুপিতে বিক্রি হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ২০.৭৫ শতাংশ বেশি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, এই বাড়তি দামের মধ্যেই রেকর্ড পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত। এপ্রিল-জুনে রপ্তানি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন।
ভারতের বাণিজ্য অধিদপ্তরের পোর্টালে দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে এপ্রিল-জুনের মধ্যে দেশটির পেঁয়াজ রপ্তানি ৬.৩৮ লক্ষ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬.৫১ শতাংশ বেশি। গত বছরের এই সময়ে দেশটি ৫.০৪ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল।
চলতি বছরের জুনে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আরও অনেকটা বেড়েছে। জুন মাসে দেশটি ২.৯২ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮৯.৫৬ শতাংশ বেশি।
২০২৩ সালের এপ্রিল-জুন সময়কালে ভারত ৬৫টি দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১.৩৯ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ ছাড়াও মালয়েশিয়া (১.০৭ লক্ষ মেট্রিক টন), সংযুক্ত আরব আমিরাত (০.৯০ লক্ষ মেট্রিক টন), শ্রীলঙ্কা (০.৮০ লক্ষ মেট্রিক টন) ও নেপাল (০.৩৯ লক্ষ মেট্রিক টন) ভারতীয় পেঁয়াজের শীর্ষ পাঁচ রপ্তানি গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের পেঁয়াজের ওপর বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, মালয়েশিয়া এবং শ্রীলংকাও ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।