নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পিতার চেয়ে ৩৪ বছর বেশি বয়স দেখানো হয়েছে ছেলের। জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়সের এমন ভুল তথ্যে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদেরকে।
ভুক্তভোগীরা হলেন— জেলার দুর্গাপুর উপজেলার চণ্ডিগড় ইউনিয়নের নিলাখালী গ্রামের বাসিন্দা পিতা মুসলেম উদ্দিন ও তার ছেলে মঞ্জুরুল হক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্রে মুসলেম উদ্দিনের জন্ম তারিখ ১৯৫২ সালের ১৭ অক্টোবর এবং ছেলে মঞ্জুরুল হকের জন্ম তারিখ দেওয়া হয়েছে ১৯১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। সে হিসেবে পিতার বর্তমান বয়স ৭০ বছর আর ছেলের ১০৫। জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার চেয়ে ৩৪ বছর ৮ মাস ১৫ দিন বেশি বয়স দেখানো হয়েছে মঞ্জুরুল হককে। আবার পিতার জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘মোঃ মুসলেম উদ্দিন’ লেখা থাকলেও ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম লেখা রয়েছে ‘মুসলমে উদ্দিন’।
এ নিয়ে ভুক্তভোগী মঞ্জুরুল হক বলেন, লেখাপড়া করিনি, তাই তেমন কিছুই বুঝিনি। ডিজিটাল আইডি কার্ড (স্মার্ট কার্ড) অনেক আগেই পেয়েছি; কিন্তু এই সমস্যা যে এতো প্রকট হবে তা বুঝিনি। একমাস আগে এনজিও (ব্র্যাক) থেকে ঋণ তুলতে গেলে বয়সের এ সমস্যা ধরা পড়েছে। ভাবছি পরে ঠিক করে নেবো। বাড়িতে নতুন ঘর তুলে ধারদেনা হয়ে গেছে। তাই চিন্তা করেছিলাম ব্র্যাক থেকে ঋণ নিয়ে সেগুলো পরিশোধ করবো। অথচ আমি এখন ঋণ তুলতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, অফিসের লোকজন বলছে, যতদিন আমার আইডি কার্ড ঠিক না হবে ততদিন তারা ঋণ আমাকে দিতে পারবে না। আমার বয়স এমন বেশি হওয়ার কারণে যেকোনো কাজে গেলেই নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এখন আমি জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে ভুল সংশোধন করতে চাই।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তপন চন্দ্র শীল বলেন, আমাদের উপজেলায় ‘ক’ ক্যাটাগরির ভুল সংশোধন করা যায়। মঞ্জুরুল হকের বিষয়টি বয়স সংশোধনের বিষয়। এজন্য ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন করলে ময়মনসিংহ বিভাগীয় অফিস দেখবে। ভুল সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।