মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে ফিজিওথেরাপি মোঃ আঃ মজিদ ওরফে জাহাঙ্গীর দীর্ঘ ৫ বছর যাবত প্রতিদিন ডাক্তারের ভূমিকা নিয়ে রোগী দেখছেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী দেখেছেন ডাক্তার সেজে।এভাবে একের পর এক প্রতারিত হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
তিনি যে প্রেসক্রিপশন করেন তা সম্পূর্ণ অস্পষ্ট, তার লেখা প্রেসক্রিপশন ওষুধ ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষ একদমই বুঝতে পারেন না। বেশির ভাগ রোগী ভুল ওষুধ নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন। তার প্রেসক্রিপশন থাকে না ওষুধ খাওয়ার নিয়ম ও নীতি। মূলত তার কাজ গবেষণাধর্মী ও স্বতন্ত্র চিকিৎসা পদ্ধতি ফিজিওথেরাপি মাধ্যমে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার জড়িত মানুষকে থেরাপি মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া।
কিন্তু তিনি তা না দিয়ে হাসপাতালে আউটডোরে ২৯নং কক্ষে বসে ভুলভাল চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদিন। এতে সাধারণ মানুষকে বিপদে পড়তে হচ্ছে। কেউ আবার ঔষধ খায় না কেউ আবার অন্য ডাক্তারের সহযোগিতা নেয়। অনেকেই আবার ভুল ঔষধ খেয়ে আরো বিভিন্ন রোগে জর্জরিত হয়ে যাচ্ছে। তাকে বার বার সতর্ক করা হলেও তিনি শুনছেন না। রোববার (৬ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রোগী রুপা বেগম বলেন, কোন কিছু জিজ্ঞেস না করেই রোগী দেখেই প্রেসক্রিপশন শুরু করে দেন। কিন্তু সে যে প্রেসক্রিপশন করে সে ওষুধ কিনতে দোকানে গিলে ওষুধ ব্যবসায়ী তার প্রেসক্রিপশন পড়তে সমস্যার মধ্যে পড়ে। সে বিষয়ে অন্য এক রোগী দিপালী চক্রবর্তী বলেন, আমি বহুদিন যাবত হসপিটাল থেকে প্রেসক্রিপশন করিয়ে ওষুধ খাই। কিন্তু এই মজিদ ডাক্তার যে প্রেসক্রিপশন করে সে ঔষধ খাওয়া খুব কষ্টকর হয়ে পরে। যার ফলে আমার মত বহু রোগীকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানাই।
এ বিষয়ে ফিজিওথেরাপি মোঃ আঃ মজিদ ওরফে জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করেন। তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কয়েক বার চেষ্টার পর তিনি ফোন ধরেন। তাকে প্রশ্ন করা হয় আপনি দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত কিভাবে হাসপাতালে রোগী দেখেন? আপনার পরিচয় কি? আপনি ডাক্তার কিনা? জবাবে তিনি কোন উওর দিতে পারেনি।
এ বিষয় হাসপাতালের পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ শাহ আলম সিদ্দিকী ফোনে বলেন, তিনি ফিজিওথেরাপি কোন ডাক্তার নয়। আমি যোগদানের পর তাকে রোগী দেখতে মানা করা হয়েছে। তার পরও যদি সে রোগী দেখে থাকে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।