মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে উপজেলা প্রশাসনের অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্যের এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুক সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে উপজেলা সহকারি প্রোগ্রামার রনজিত মন্ডলের মাধ্যমে ইউএনও আবিদা সুলতানা মোট অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধ ড্রেজার পরিচালনায় সহযোগিতা করতেন। এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকাল থেকে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে দেখা যায়।
সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলায় অবৈধ ড্রেজার, হাইড্রোলিক ট্রাক্টর, ভেকু (এসকিউবেটর) এবং নদীতে বাল্ক হেড বসিয়ে মাটিকাটা সহ সকল অবৈধ কাজের মূল হোতা হিসেবে সহযোগিতা করেন উপজেলা প্রশাসনের সহকারী প্রোগ্রামার (এপি- এসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার) রণজিৎ মন্ডল। তিনি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে যোগদানের পর থেকেই এই অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার রনজিত মন্ডল এবং অন্য একজন ড্রেজার ব্যবসায়ীর মাঝে কথোপকথন শোনা গেছে। দুজনের কথোপকথনের ওই ভিডিওতে রনজিৎ মন্ডলকে বলতে শোনা গেছে, ইউএনও স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, আপনারা টাকা দিলে ড্রেজার চলবে টাকা না দিলে ড্রেজার চলবে না। স্থানীয় সাংবাদিকরা কন্টিনিউ নক করে স্যারকে। যারা টাকা দেন তাদের ব্যাপারে স্যার কে হোয়াটসঅ্যাপে লিস্ট পাঠানো হয়। এলাকায় মোবাইল কোর্টে গেলে যারা টাকা জমা দেন তাদের ড্রেজার ভাঙ্গা হয় না, এবং যারা টাকা দেন না তাদের অবৈধ ড্রেজার ভেঙ্গে দেওয়া হয়। আপনারা ড্রেজার চালালে আপনাদেরই লাভ! আমার বাড়ি এখানে নয় তাই আমার বাড়ির মাটি তো আমি কেটে দিচ্ছি না। আমার কোন লস নেই চালাইলে আপনাদেরই লাভ!
এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্টু মোল্লা বলেন, ”রক্ষক যখন ভক্ষক” মাটি কাটার অবৈধ ড্রেজারের ব্যাপারে সরকার যেহেতু জিরো টলারেন্স সেক্ষেত্রে দৌলতপুর উপজেলার ইউএনও এবং সহকারী প্রোগ্রামার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধ ড্রেজার পরিচালনায় সহযোগিতা করে এটা সুশীল সমাজ মেনে নিতে পারে না।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ব্যাপারে সহকারী প্রোগ্রামার রনজিত মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তথ্যপ্রমাণ ছাড়া আমার বিরুদ্ধে কোন সাংবাদিক কিছু করলে তথ্য মন্ত্রণালয়ে আমার বন্ধুকে বলে তার সাংবাদিকতা আমি বাতিল করে দেবো?
ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বদলী জনিত কারণে তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।