গরমের কারণে কাল সারা দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা – News Portal 24
ঢাকাWednesday , ৭ জুন ২০২৩

গরমের কারণে কাল সারা দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা

নিউজ পোর্টাল ২৪
জুন ৭, ২০২৩ ৪:৫৫ অপরাহ্ন
Link Copied!

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গত ৪ জুন দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম ৫ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকের পর গতকাল বুধবার মাধ্যমিক স্তরের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ঘোষণায় বলা হয়েছে, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের মাধ্যমিক স্তরের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে ৮ জুন (আজ বৃহস্পতিবার)। এর পরের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শ্রেণি কার্যক্রম ফের শুরু হবে আগামী রবিবার।

এর আগে গত মঙ্গলবার মাধ্যমিকের সংযুক্ত প্রাথমিক স্তরের শ্রেণি কার্যক্রম, মাদরাসার ইবতেদায়ি স্তরের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর গতকাল মাদরাসার দাখিল স্তরের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের মাধ্যমিক স্তরের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে ৮ জুন (আজ বৃহস্পতিবার)।

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের মাধ্যমিক স্তরের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে ৮ জুন (আজ বৃহস্পতিবার)।

আবহাওয়াবিদরা জানান, ৯ জুন পর্যন্ত তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। ১১ ও ১২ জুন সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে। এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলেও বেসরকারি প্রাথমিক ও কিন্ডারগার্টেন (বাংলা ও ইংলিশ মিডিয়াম) সম্পর্কে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ফলে শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের এই সময়ে সুচিন্তিত ও পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া প্রয়োজন ছিল। আবহাওয়াবিদদের সঙ্গে আলোচনা করে যত দিন তাপপ্রবাহ থাকবে তত দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এখানে বাচ্চাদের সুস্থতা বেশি গুরুত্ব পেতে হবে। তীব্র গরমে স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীর মৃত্যু আমাকে ভীষণভাবে মর্মাহত করেছে। ঢাকার বাইরে যেখানে বিদ্যুৎবিভ্রাট বেশি, সেখানে পরিস্থিতি আরো নাজুক। এ অবস্থায় যেসব স্কুলে ঘন ঘন বিদ্যুৎবিভ্রাট হয়, সেখানে বাচ্চারা কিভাবে বসে ক্লাস করে, তা আমার বোধগম্য নয়।

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মামুনুর রশিদ খোকন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার পর আমরাও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি, তবে কিন্ডারগার্টেনগুলো শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী গতকাল বলেন, আমাদের জন্য নির্দেশনা থাকলে বিজ্ঞপ্তিতে কিন্ডারগার্টেন শব্দ উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এবারের বিজ্ঞপ্তিতে কিন্ডারগার্টেনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। ফলে আমরা শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো আমরা এক বেঞ্চে অনেক শিক্ষার্থী বসতে দিই না। এক বেঞ্চে দু-তিনজন শিক্ষার্থী বসে।