সিলেটে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে - News Portal 24
ঢাকাWednesday , ২১ জুন ২০২৩

সিলেটে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২১, ২০২৩ ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
Link Copied!

মেঘলা আকাশের মধ্যে বুধবার সকাল ৮টা থেকে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৪২ নির্বাহী ও ১৪ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। ১০ প্লাটুন বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৭ হাজার সদস্যকে মাঠে রয়েছে। ১৯০ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ দায়িত্ব পালন করছেন সাড়ে ৪ হাজারেরও অধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।

এবার সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টি: এই তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীসহ মোট ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থী ছিলেন ৮ জন। তবে বরিশাল সিটি নির্বাচনের দিন ভোট থেকে সরে দাঁড়ান ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙ্গল প্রতীকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী যথাক্রমে মো. আব্দুল হানিফ কুটু ঘোড়া প্রতীকে, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে, মো. শাহজাহান মিয়া বাস প্রতীকে ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা হরিণ প্রতীকে এবং জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম গোলাপ ফুল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সরেজমিনে ৮ নং ও ২৪ নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রে সকাল ৭টা থেকেই লাইনে দাঁড়াতে দেখে গেছে ভোটারদের।

এবারের সিসিক নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে মোট ১৯০টি। এর মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বর্ধিত এলাকাসহ এবার মোট ৪২টি ওয়ার্ড নিয়ে সিসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩ জন ও ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন নারী ভোটার।

মঙ্গলবার ভোর থেকেই মহানগরজুড়ে টহল দিচ্ছে বিজিবি। ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য বর্তমানে মাঠে রয়েছেন। রয়েছেন র‍্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্যও। ভোটকেন্দ্র ও কেন্দ্রের বাইরে মোট ২ হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে প্রায় ৩ হাজার আনসার সদস্য। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৭ হাজার সদস্য নির্বাচনী মাঠে আছেন।

আরও পড়ুনঃ  সড়ক দুর্ঘটনায় ‘শিশুবক্তা’ আবু রায়হান নিহত

ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে একজন এসআই, একজন এএসআই ও পাঁচজন কনস্টেবলসহ মোট ৭ জন পুলিশ সদস্য এবং একজন পিসি, একজন সহকারী পিসি, ৭ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন এসআই, একজন এএসআই, চারজন কনস্টেবলসহ মোট ৬ পুলিশ, একজন পিসি, একজন সহকারী পিসি, ৭ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৬ জন সদস্য রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯০ ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ২৭২ পুলিশ সদস্য ও ২ হাজার ২৮০ জন আনসার সদস্য মিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ৩ হাজার ৫৫২ জন সশস্ত্র সদস্য নিয়োজিত আছেন। এছাড়া রয়েছে আর্মড পুলিশ (এপিবিএন) সদস্যরাও।

ভোটকেন্দ্রের বাইরে রয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়। সিসিকের প্রত্যেক সাধারণ ওয়ার্ডে পুলিশের একটি করে মোট ৪২ ওয়ার্ডে ৪২টি মোবাইল টিম নিয়োজিত রয়েছে। প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্যে রয়েছে পুলিশের ১৪টি স্পেশাল স্ট্রাইকিং ফোর্স। ৪২টি ওয়ার্ডের জন্যে রয়েছে র‍্যাবের ২২টি মোবাইল টিম। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ৪২ ওয়ার্ডের জন্যে আছেন ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এছাড়া নির্বাচনী অপরাধসমূহ আমলে নিয়ে তা সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার সম্পন্নের লক্ষ্যে রয়েছেন বিচার বিভাগের ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। সোমবার থেকেই এই ১৪ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টানা ৫ দিন মাঠে থাকবে।