বিয়ানীবাজারে পরকীয়া প্রেমিককে কুপিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবতী। ওই প্রেমিকের কর্মস্হলের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে আচমকা কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই গলায় দড়ি পেচিয়ে আত্মহনন করেন তিনি।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে উপজেলার কুড়ার বাজার ইউনিয়নের খশিরবন্দ কমিউনিটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আত্মহননকারী মরিয়ম বেগম মরি (৩৫)’র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
পরকীয়া প্রেমিকার হামলায় আহত কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য কর্মী গোপাল দাসকেও হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে জানা যায়, মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটির জের ধরে যুবতী মরিয়ম সোমবার দুপুরে বটি দা নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের আশপাশে পূর্ব থেকে অপেক্ষা করতে থাকেন। স্বাস্থ্য কর্মী গোপাল দাস অফিসে প্রবেশ করার পরই আচমকা তার উপর হামলা চালান মরিয়ম। এসময় প্রাণ রক্ষার্থে গোপাল দাস চিৎকার দিলে আশপাশে থাকা স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠান। তারা হামলাকারী মরিয়মকেও কমিউনিটি ক্লিনিকের ভিতর আটক করে রাখেন। তখন উপস্থিত জনতার রোষানল থেকে বাঁচতে হামলাকারী যুবতী ক্লিনিকের ভিতরের একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশ জানায়। তিনি খশির রামনগর গ্রামের মনির আলীর মেয়ে।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, পরকীয়া প্রেম সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে। এরপরও আমরা আরো তদন্ত করছি।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আমরা এমনটা জানতে পেরেছি। আহত গোপাল দাসকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক কিছু জানা যাবে।