সিলেটের ওসমানীনগরে পড়া না পারায় মোঃ রাহিম (১১) নামের শিক্ষার্থীকে কাঠের লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে হাতের হাড় ভেঙে দেয়ার অভিযোগে মাদরাসার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বুধবার আহত শিক্ষার্থীর পিতা উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের আবদুল জলিল বাদি হয়ে
ওসমানীনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হচ্ছেন উপজেলার গোয়ালাবাজার করনসী রোডস্থ ইমাদাদিয়া হিফজুল কুরআন সেন্টারের শিক্ষক আসাউজ্জামান আসাদ (৪০) ও সাব্বির আহমদ (১৬)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানীনগর থানা ওসি মাছুদুল আমিন।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে-
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাহিম গত তিন বছর ধরে ইমাদাদিয়া হিফজুল কুরআন সেন্টারে পড়ালেখা করে আসছে। গত ২৮ মে সে পড়া না পারায় কাঠের লাঠি দিয়ে তাকে পিঠানো শুরু করেন শিক্ষক আসাউজ্জামান আসাদ ও সাব্বির।
এতে শিশু রাহিমের শরীরের বিভিন্ন স্থান ও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে শিক্ষক আসাদ তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে রাহিমের বাম হাতের কনুইয়ের ওপর আঘাত করলে হাড় ভেঙে যায়। খবর পেয়ে ছেলেকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসা প্রদান করে এসে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদীয় আবদুল জলিল বলেন, সামান্য পড়া না পারায় আমার ছেলের ওপর শাসনের নামে অমানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তার বাম হাতের কনুইয়ের ওপ
হাড় ভেঙে গেছে। শরীরসহ মাথায় শক্ত আঘাত রয়েছে। ছেলেকে হাফিজি পড়ানোর জন্য মাদরাসায় মাসিক সাড়ে তিন হাজার টাকা হারে ফি দিয়ে আসছেন বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক আসাউজ্জামান আসাদ বলেন, পড়া না পারায় শাসন করতে দুই-একটা মেরেছি।
ওসমানীনগর থানার ওসি মাছুদুল আমিন বলেন, আহত শিক্ষার্থীর পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।