কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে চুরি করার উদ্দেশ্যে পৃথক দুইটি বাড়ীতে পানির ট্যাংঙ্কের ভিতরে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে একই পরিবারের ৪ জনকে অচেতন করেছে সংঘবদ্ধ চোরের সদস্যরা।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারী পুরুষ ৪জনকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বিদ্যাবাগিশ ধারিয়ার পাট এলাকায়। আহতরা উল্টোপাল্টা বলায় স্বাভাবিক হয়নি এখনো।
আহতরা হলেন- ওই এলাকার গনেশ চন্দ্রের ছেলে র্নিমল চন্দ্র (৪৫), তার স্ত্রী পিতিলতা (৩৮), র্নিমল চন্দ্রের ছেলে স্বপন চন্দ্র (৫০) ও তার আত্বীয় চিনুবালা (৫৫)।
তারা সকলে রাতে খাবার খেয়ে সকালে অচেতন হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে স্বাভাবিক করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ঘুমে বিভোড় হয়ে পড়ে তাঁরা। বিকাল ৩টার দিকে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদেরকে।
ওই এলাকার আনিচুর রহমান জানান সংঘবদ্ধ একটি চক্র সন্ধ্যার আগে ওই বাড়ী দুইটিতে কৌশলে পানির ট্যাংঙ্কিতে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে দিয়ে ছিল। আহতরা পানি খেয়ে অচেতন হয়ে পড়েছে। কিন্তু চোর চক্র ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যাইতে পারেনি।
সম্প্রতি সময় ফুলবাড়ী আর্দশ স্কুলের পাশে নাওডাঙ্গা ব্রীজের পার, ফুলবাড়ী ডিগ্রী কলেজ পাড়ায় একই ভাবে পরিবারের সদস্যদেরকে পানিতে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করেস্বর্ণালংকারসহ সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে চোরের দল।
আহত স্বপনের স্ত্রী স্বপ্না রানী জানান, সকাল বেলা ১০টা পার হলেও দেখি ঘুম থেকে আমার স্বামী উঠছে না। অনেক ডাকাডাকি করছি তা ও ঘুম থেকে উঠে না। মাঝে মধ্যে উল্টোপাল্টা বলছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
আহত র্নিমলে ভাগ্নে যুয়ন্ত কুমার রায় জানান, পানির ট্যাকির ভিতরে চেতনানাশক ওষুধের আংশিক বস্ত পাওয়া গেছে। এ বিষয় পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।
ফুলবাড়ী হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ নশরাতজাহান জানান, আহতদের চিকিৎসা চলছে। তাঁরা এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)ফজলুর রহমান জানান বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে । তারা আসলে বিস্তারিত শোনার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।