কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অসহায় গরীব ও মধ্যবিত্ত কৃষকদের পাকা ধান কেটে মাড়াই করে দিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
রবিবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা এলাকার মধ্যবিত্ত কৃষক সুমন পোদ্দারের দেড় বিঘার জমির ধান কেটে দিচ্ছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। গত দুই সপ্তাহ থেকে উপজেলা জুড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী গরীব ও মধ্যবিত্ত কৃষকদের বিনা পারিশ্রমিকে ধান কাটা ও মাড়াই করে দিচ্ছেন। ধান কাটার পাশাপাশ ভুট্টাসহ বিভিন্ন কৃষদের স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলে দিচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন বিনামূল্যে কৃষকদের ধান কাটা কর্মসূচি আগামী এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল ও সাধারণ সম্পাদক মুসাব্বের রহমান হ্যাভেন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দিক নিদের্শনায় গত এক সপ্তাহ থেকে উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মিদের বিনা পারিশ্রমে গরীব ও মধ্যবিত্ত কৃষকদের ধান কাটা ও মাড়াই করে দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা ছাত্রলীগের পাশাপাশি ৬ ইউনিয়নের ছাত্রলীগ কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছেন এবং এ কর্মসূচী আগামী এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকবে।
এই দুই ছাত্রলীগ নেতা আরও জানা, ধান কাটা কর্মসূচীতে বিভিন্ন এলাকার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ঘাম ঝরানো প্রখর রোদের মাঝে গরীব ও মধ্যবিত্ত কৃষকদের ধান কাটা এবং মাড়াই করে দেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মনে আনন্দ উপভোগ করতে দেখা গেছে। এমনও ছাত্রলীগ কর্মী আছে তারা জীবনে কোন দিন রোদে ধান কাটেনি। এক দিকে প্রখর রোদে ধান কেটে দেওয়ায় কৃষকরা যেমন উপকৃত হচ্ছে, অন্য দিকে আমাদের ছাত্রলীগ ভাইয়েরা ধান কাটতে কাটতে ধান কাটাটাও শিখে ফেলেছেন। এই শেখাটা যদি প্রতি পরিবারে কাজে লাগায় তাহলে পরিবার উপকৃত হবে।
উপজেলার চন্দ্রখানা এলাকার কৃষক সুমন পোদ্দার জানান, দেড় বিঘা জমির ধান কাটতে ৬ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা লাগতো। উপজেলা ছাত্রলীগ আমার দেড় বিঘা জমির ধান কেটে দেওয়ায় অনেক বড় উপকার হলো। পরে তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবান জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ নিলুফা ইয়াছমিন জানান, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলা ১০ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে কৃষকরা বোরোর চাষাবাদ করেছেন। এ পর্যন্ত উপজেলা জুড়ে ৩ হাজার ৫৫৮ হেক্টর জমির ধান কর্তন করার খবর পাওয়া গেছে। এ বছর গত বছরের চেয়ে এ বছর আবহাওয়া অনুকুল থাকায় বোরের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি ধানের দাম ভাল থাকায় কৃষকরাও খুশি।