মানিকগঞ্জের দৌলতপুর সদর চকমিরপুর ইউনিয়নের মুলকান্দি গ্রামে টাঙ্গাইল আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাড়ে শাহানা নার্সারী এন্ড বিনোদন পার্কে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে এতে প্রায় তিন থেকে চার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় নার্সারীর ভিতরে শত শত গাছপালা ভাঙচুর করা হয়েছে এবং পার্কের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় নার্সারি মালিক মোঃ কামরুল হাসান ও তার পরিবারের লোকজন মারধরের শিকার হয়েছেন।
মারধরের শিকার কামরুল হাসান ও এলাকাবাসী জানান, ঘিওর উপজেলার ময়না খাতুন, স্বামী আরিফ, মেয়ে আরিফা এবং আরিফের ভাই মুড়ি আওলাদ আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। হামলায় আমি সহ আমার স্ত্রী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, হামলাকারী এখানে আমার কাছে পাওনা টাকা দাবি করে কিন্তু আমি তাদের দাবি অনুযায়ী অনেক আগেই ঢাকায় আমার একটি দোকান ঘর মালপত্র সহ তাদের দিয়েছি। তারপরও তারা আমার নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং মামলাটি এখনও চলমান আছে। কিন্তু হঠাৎ এসে তারা আমার নার্সারি ও পার্কে শত শত গাছপালা ভেঙ্গে ফেলল এবং দামি দামি আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং অনেক গাছপালা তারা এখান থেকে নিয়েও গেছে। হামলা চালিয়ে যাওয়ার পথে হুমকি দিয়ে বললেন এ ব্যাপারে আমি যদি মামলা করি তাহলে আমাকে দেখে নেওয়া হবে।
নার্সারি মালিককে ক্ষতির পরিমান জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমার এখানে তিন থেকে চার লক্ষ টাকার গাছপালাও আসবাবপত্র নষ্ট করেছে এবং ঈদ উপলক্ষে আমি যে বিক্রি করেছিলাম সেখান থেকে প্রায় চায় লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি এখন পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে গেলাম প্রশাসনের কাছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
নার্সারিতে হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে ময়না খাতুন জানান, আমি আরিফের কাছে এক লক্ষ টাকা পাওনা আছি এবং এছাড়াও প্রায় অন্য বাবদ প্রায় ১২ লক্ষ টাকা তার কাছে আমি পাবো।
ঘটনার ব্যাপারে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম মোল্লা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।