কসবায় রাজমিস্ত্রির কাজের পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে আপন চার ভাই গুরুতর আহত হয়ে, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস হসপিটালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন, কসবা সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কসবা সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মহন মিয়া সরদার ৪ ছেলে কবির হোসেন, মালু মিয়া, জীবন মিয়া এবং হৃদয় মিয়া।তারা চার ভাই ইফতারি শেষ করে আনুমানিক ৬:৫০ মিনিটে, ঘর থেকে বাহির হয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে দুই ভাই বের হয়। এর মধ্যে মালু মিয়া তার পাওনা টাকা আনার জন্য তার বোন কে পাঠাই বাপ্পির কাছে, তখন মালুমিয়ার বোনের সাথে কথায় কাটাকাটি শুরু হওয়ার এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে মালুমিয়া উপস্থিত হয়, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাপ্পি মিয়া অতর্কিতভাবে হামলা করে, বাপ্পি মিয়ার সাথে তারই পরিবারের আরো চার জন সদস্য দেশীয় অস্ত্র সহকারে আক্রমণ চালায় মালুমিয়ার উপর, মালুমিয়ার উপর হামলার কথা শুনে তার তিন ভাই ঘটনাস্থলে আসলে তাদের উপরও হামলা চালায় একই পরিবারের, সজিব মিয়া, বাদশা মিয়া, কাউছার মিয়া, ও বাপ্পি মিয়া তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলায় তারা চার ভাই গুরুতর আহত হয়।
আহত মালু মিয়া জানান, বাপ্পি মিয়ার সাথে রাজমিস্ত্রির কাজে অংশগ্রহণ করে, বাপ্পি মিয়া তার পরিবারের অসুবিধা বলে কাজের থেকে টাকা নেই, টাকা নেওয়ার পর কাজে আসা বন্ধ করে দেই, এবং বারবার খবর দিলে সে দীর্ঘদিন ধরে পাঁতারা করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, আজকে ইফতারি করার পর উক্ত পাওনা টাকা আনার জন্য তার বাড়িতে যাই, পরবর্তী কিছু সময় পর দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে, সজিব মিয়া, বাদশা মিয়া, কাউছার মিয়া, ও বাপ্পি মিয়া এসে তাদের চার ভাই এর উপর হামলা চালায়। এ হামলায় তারা চার ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের ভাইদের মধ্যে মালু মিয়া, জীবন মিয়া, হৃদয় মিয়া উপর এলোপাতারি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করার কারণে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার কারণে স্থানীয় জনতা তাদেরকে কসবা উপজেলার সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। মহন মিয়া সরদার তার তিন ছেলের মাথায় জখম স্থানে সেলাই দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লাতে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক, মহন মিয়া সরদার তিনি তার সন্তানদের উপর হামলা কারীদের কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন।
এদিকে এ ঘটনায় আহতদের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাদের পক্ষ হতে তাদের বোন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন জানা যায় কসবা থানায়।