প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সিলেটের সীমান্তবর্তী উত্তর জনপদ গোয়াইনঘাট উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ বছর মুসলমানদের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে সারা দেশে নির্মাণাধীন ৫৬৪টি মডেল মসজিদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৪ দফায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন হওয়া ২০০ মডেল মসজিদসমূহে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,গোয়াইনঘাটে গত ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন হওয়া দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।
আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন গোয়াইনঘাট উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণাধীন সময় থেকে শুরু করে উপজেলার ধর্ম-প্রাণ মুসল্লিদের নজর কেড়েছে।
মসজিদ শুধু নামাজের স্থান নয়, ইসলামি গবেষণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চারও ব্যবস্থা রয়েছে। উপজেলা সদরের প্রশাসনিক গণ্ডির ভিতরে ৪৩ শতক ভূমিতে
(১৮ হাজার ৮শ বর্গফুট) জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে মসজিদটি।সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি’র প্রচেষ্টায় প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদটি নির্মিত হয়। সুন্দর সীমানা প্রাচীরবেষ্টিত মনোরম পরিবেশে অবস্থিত মসজিদে ইতিমধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নামাজ আদাযের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও মনের প্রশান্তি লাভ করছেন।
মডেল মসজিদে প্রথম বারের মতো পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজে গোয়াইনঘাট উপজেলাবাসীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন গোয়াইনঘাট মডেল মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান। এছাড়াও ইউএনও তাহমিলুর রহমান গোয়াইনঘাট উপজেলাবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী, ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৬৪টি মসজিদের মধ্যে চার দফায় ২০০টি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।