জামালপুর সদরে তাহমিনা জান্নাত (২২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই নারীর শাশুড়িসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের দেওলিয়াবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন তাহমিনার শাশুড়ি উষা, নানি শাশুড়ি আকলিমা ও দেবর মো. শরীফ।
তাহমিনার বাবা ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দেওলিয়াবাড়ি গ্রামের মজনু ওরফে মুমু মিয়ার ছেলে আনসার সদস্য উজ্জল মাহমুদের সঙ্গে তাহমিনার বিয়ে হয়। বিয়েতে উজ্জলকে নগদ ছয় লাখ টাকা, এক লাখ টাকার গয়না ও দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা দামের একটি মোটরসাইকেল কিনে দিই। এরপরও মাঝেমধ্যে যৌতুকের টাকার জন্য তাহমিনাকে শারীরিক ও
মানসিক নির্যাতন করতো উজ্জল ও তার পরিবার। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয় তাহমিনা। এরপর থেকে তাহমিনার ওপর নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাতে তাহমিনার গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করা হয়। এতে রাজি না হওয়ায় ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করে উজ্জল ও তার পরিবার।’
জামালপুর সদর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাহমিনাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।’