আকাশপথে সেহরি বা ইফতার কোন সময় ধরে? – News Portal 24
ঢাকাMonday , ২৭ মার্চ ২০২৩

আকাশপথে সেহরি বা ইফতার কোন সময় ধরে?

নিউজ পোর্টাল ২৪
মার্চ ২৭, ২০২৩ ৬:৪৮ অপরাহ্ন
Link Copied!

আকাশপথে দূরের যাত্রায় ফ্লাইটে বসেই খাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেকের জন্যই হয়তো নতুন কিছু না। কিন্তু রোজা রেখে ইফতার বা সেহরি করতে হয় নির্দিষ্ট সময়ে। দূরের যাত্রায় সেহরির সময় হয়তো হচ্ছে এক দেশ বা শহরে, আবার ইফতার করতে হচ্ছে অন্য কোনও দেশ বা শহরে। সমস্যা হলো, এসব দেশ কিংবা শহরের সময়ের ব্যবধান থাকে, সেক্ষেত্রে যাত্রী সেহরি বা ইফতার করবেন কোন সময় ধরে?

সোমবার (২৭ মার্চ) প্রথমবার এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন মালিন্দো এয়ারের বেশ কয়েকজন যাত্রী। এই ফ্লাইটের যাত্রী শফিউল্লাহ সুমন বলেন, নিঃসন্দেহে এটা ভিন্নরকম অভিজ্ঞতা। ভূমি থেকে ৩০ হাজার ফুট ওপরে সেহরি। প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না, সেহরি কোন সময় অনুযায়ী হবে। ফ্লাইটে খাওয়ার খাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকলেও রমজানে আকাশে বিমানে বসে সেহরি এটাই প্রথম।

রবিবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাতে ১টা ১০ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে ‘ওডি ১৬১’ ফ্লাইটটি। আর তখন মালয়েশিয়ায় রাত ৩টা ১০ মিনিট। ঢাকা থেকে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড হয়ে ফ্লাইটটি কুয়ালালামপুরে পৌঁছাতে সময় লেগেছে প্রায় ৩ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট।

ওই রাতে বাংলাদেশে সেহরির সময় ছিল ভোর ৪টা ৩৬ মিনিটে। যদিও মালয়েশিয়ায় সেহেরির শেষ সময় ভোর ৬টা ৫ মিনিটে। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার সময় বাংলাদেশের তুলনায় ২ ঘণ্টা সময় এগিয়ে। অর্থাৎ বাংলাদেশ যখন ভোর ৪টা ৩৬ মিনিট, তখন মালয়শিয়ায় ভোর ৬টা ৩৬ মিনিট।

শফিউল্লাহ সুমন বলেন, আমরা যখন সময়ের বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ নিয়ে ব্যস্ত, তখন পাইলট সেহেরি খাওয়ার সময় ঘোষণা করেন। তখন বাংলাদেশ সময় রাত ২টা বাজে। তখন মালয়েশিয়ার সময় ভোর ৪টা বাজে।

ভ্রমণের সময় রোজার রাখার বিষয়ে ইসলাম ধর্মে রয়েছে শিথিলতা। হাদিসে উল্লেখ আছে, ৪৮ মাইল তথা ৭৭ কিলোমিটার ভ্রমণ করলে রোজা না রাখারও অনুমতি রয়েছে। তবে মুসাফিরের জন্য উত্তম হচ্ছে, যদি কষ্ট কম হয়— তাহলে রোজা পালন করা। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৪; আল-হিদায়া : ১/২২১; জাওয়াহিরুল ফাতাওয়া : ১/২০।