কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনার জেরে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঘটে যাওয়া ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে না পেয়ে তার স্ত্রী, দুধের শিশু সন্তানকে ধরে এনে আদালতে প্রেরণের অভিযোগ উঠেছে ঈদগাঁও থানার এসআই গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জালালাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব ফরাজী পাড়া এলাকায়।
জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ জানান, মঙ্গলবার পূর্ব ফরাজী পাড়া এলাকায় প্রতিবেশী মৃত নজীর আহমেদের ছেলে শাহজাহান ও মৃত আবু শামার ছেলে হারুন অর রশীদের মধ্যে নলকূপের পানি চলাচল নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় শাহাজাহান নামের এক যুবক হারুন অর রশীদকে নেইল কাটার তথা নখ কাঁটার যন্ত্র দিয়ে আঘাত করে। হারুন অর রশীদকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে প্রেরণ করে।
পরে খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিকেলে শাহাজাহানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় শাহাজাহানকে না পেয়ে তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনসহ দুগ্ধপোষ্য এক শিশু এবং ২ বছরের আরও এক শিশুকে থানায় নিয়ে আসে। পরে ভিকটিম হারুন অর রশীদের স্বজনদের থানায় ডেকে নিয়ে নাটকীয় কায়দায় মামলা রেকর্ড করে আদালতে সোপর্দ করে।
এসআই গিয়াস উদ্দিন জানান, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শাহজাহানের স্ত্রীকে আটক করে নিয়ে আসা হয়। পরে ভিকটিম হারুন অর রশীদের পরিবার মামলা দায়ের করলে, সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ জানান, ঘটনাটি মীমাংসা যোগ্য, পুলিশ অতিরঞ্জিত করে নিরীহ স্ত্রী এবং নিষ্পাপ দুই শিশুকে ধরে এনে আদালতে সোপর্দ করেছে। এটি অমানবিক নিষ্ঠুরতা। বাবার অপরাধে নিরীহ শিশুদের ধরে এনে মামলা দায়ের করাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভিকটিমের পরিবার এজাহার জমা দিয়েছে। এজাহারের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। শিশুদের বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
স্ত্রীসহ শিশুদের ধরে এনে আদালতে সোপর্দ করার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী, এমনটাই জানিয়েছেন জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ।