সিলেট জেলায় সংঘটিত সাম্প্রতিক স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এস ও এস আন্তর্জাতিক শিশু পল্লী বাংলাদেশ Humanitarian Response to the Flood Victim Families in Sylhet, Bangladesh শীর্ষক ০৮ মাসব্যাপি (০১ আগস্ট ২০২২ ইং – ৩১ মার্চ ২০২৩ ইং) একটি বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। যার এন জি ও ব্যরো কতৃক অর্থ ছাড়ের স্মারক নং -০৩.০৭.২৬৬৬.৬৬৫.৬৮.৩২০.২০- এবং ০৭ আগস্ট ২০২২ ইং তারিখে অনুমোদন পায়। সিলেট জেলার ২ টি উপজেলা ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জে স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে সমন্বয় সাধন করে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে।
সর্বমোট ২,২১,৮৭,০০০/- (দুই কোটি একুশ লক্ষ সাতাশি হাজার) টাকার প্রকল্পের অর্থের যোগান দেয় SOS Children’s Village International and its different Promoting & Supporting Associations. মোট ২,৪৪০ টি পরিবার এ প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়।
৩০ মার্চ ২০২৩ ইং বেলা ২:৩০ ঘটিকায় স্থানীয় প্রশাসন এবং উপকারভোগীদের সমন্বয়ে একটি প্রকল্প সমাপন (Project Closing) সভার আয়োজন করা হয়। এস ও এস শিশু পল্লী সিলেট এর পরিচালক জনাব মোহাম্মদ ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব নীলিমা রায়হানা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসমানীনগর সিলেট, জনাব জাহানারা বেগম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ওসমানীনগর উপজেলা, জনাব শফিকুল ইসলাম, উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা, ওসমানীনগর উপজেলা, জনাব চন্দন সাহা, কোঅর্ডিনেটর, ইআরপি প্রজেক্ট , জনাব এস এ শফি, সিলেট ব্যুরো চীফ , দি ডেইলি নিউ নেশন, আব্দুল মতিন, সহ সভাপতি, ওসমানীনগর প্রেসক্লাব, আনোয়ার হোসেন আনা, সাধারণ সম্পাদক, ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাব,এস ও এস সামাজিক কেন্দ্র এর ইনচার্জ জনাব তানবীর আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এস ও এস শিশু পল্লী সিলেট এর সকল কো-ওয়ার্কার, ও উক্ত প্রকল্পের ৬০ জন উপকার ভোগী। এ সময় উপকারভোগীরা দূর্যোগময় মূহুর্তে তাদের সহযোগীতার জন্য এস ও এস শিশু পল্লী সিলেট এর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এস ও এস এর কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এস ও এস এর যে কোন ভালো কাজের পাশে থাকার প্রতিশ্রতি দেন।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তাার জন্য প্রতিটি পরিবার ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা করে মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে গ্রহণ করে। মোট ২,০৫০ টি পরিবার এ সুবিধা পায়।
আশ্রয়ন গৃহ সংস্কার/মেরামত বাবাদ ১৯,০০০ (ঊনিশ হাজার) টাকা পরিবার প্রতি মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে প্রদান করা হয়। ২০০ টি পরিবার এ সুবিধার আওতায় আসে।
জীবিকায়নে সহযোগিতা (গৃহপালিত পশু, ক্ষুদ্র ব্যবসা, কৃষিজ উপকরণ ইত্যাদি) বাবদ ১৯০ টি পরিবার ২১,৩০০ (একুশ হাজার তিনশত) টাকা পরিবার প্রতি এ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রহণ করে।
০৩ টি ইউনিয়নের ২,৪৪০ টি পরিবার এ প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়। শুধু তাই নয় খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ৫,০০০/- টাকা প্রাপ্ত ২০০০ টি পরিবার ঢাকনা সহ ২০ লিটার ও ১০ লিটারের ০২ টি বালতি, ০১ টি মগ, ২ প্যাকেট স্যানিটারী প্যাড, ০৬ পিস লন্ড্রি সোপ ও ০৬ পিস বাথিং সোপ সম্বলিত ০১ টি করে হাইজিন কিট গ্রহণ করেছে।