মুন্সিগঞ্জে ইয়াসমিন নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের সাথে অভিমান করে কলেজছাত্রী ইয়াসমিন (১৮) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি স্বজনদের।
বৃহস্পতিবার (২রা মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কলেজছাত্রী ইয়াসমিন মুন্সিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহত শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানায়, প্রবাসী এক ছেলের সঙ্গে প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না ইয়াসমিনের। এই নিয়ে সম্প্রতি তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে ঘরের ভেতর দরজা বন্ধ করে রাখে ইয়াসমিন।
পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
নিহতের ভাই জানান, সকালে একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে যেতে চেয়েছিল ইয়াসমিন। এতে বাধা দেয় তার পরিবার। এরপর বাড়ির সবাই কাজে বেরিয়ে পড়লে সেই সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ইয়াসমিন।
এরপর সকাল ১১টার দিকে নিহত ওই শিক্ষার্থীর মা বাড়িতে এসে দরজা লাগানো দেখতে পেয়ে অনেক ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া না মেলায় প্রতিবেশীদের ডেকে এনে দরজা ভেঙে ভেতরে ইয়াসমিনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. তারিকুর বলেন, ইয়াসমিনের মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।