মুমিন জীবনের অন্যতম একটি ইবাদত হলো সালাত বা নামাজ। ইসলামের প্রথম স্তম্ভ সালাত এবং কেয়ামতের দিন প্রথম বিচার ফয়সালা হবে সালাতের মাধ্যমে। রাসুল (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন প্রথম নামাজের হিসাব হবে। (তিরমিজি)
নামাজ একটি ইবাদত। ইবাদতের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ ইবাদতে দেহ-মন-আত্মার অংশগ্রহণ ঘটে। সমভাবে দেহ-মন-আত্মার সম অংশগ্রহণও ঘটে এ নামাজে। এ কারণেই মহান আল্লাহ বান্দাকে কোরআনের বিভিন্ন স্থানে নামাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।
যে নামাজে দাঁড়িয়েছে তার জন্য মুখে যে খাবার ও গন্ধ লেগে আছে সেটি দূর করা মুস্তাহাব। এ কারণে নামাজে দাঁড়ানোর সময় মিসওয়াক করার বিধান দেয়া হয়েছে।
যদি কেউ সেটি না করে তাহলে তার ওপর কোনো কিছু বর্তাবে না; তার নামাজ সহিহ হয়ে যাবে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে ভেড়ার হাড্ডি থেকে গোশত খেতে দেখেছি। এরপর তিনি নামাজ পড়েছেন; কিন্তু কুলি করেননি এবং পানি স্পর্শ করেননি।’ (মুসনাদে আহমাদ : ২৫৪১)
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, ‘রাসুলুল্লাহ দুধ পান করেন। এরপর কুলি না করে ও অজু না করে নামাজ পড়েন।’ (সুনানে আবু দাউদ : ১৯৭)
আউনুল মাবুদ গ্রন্থে বলেছেন, এ হাদিসে দলিল রয়েছে যে, দুধ ও এ জাতীয় অন্য যে সব জিনিসে চর্বি রয়েছে সেগুলো খেয়ে অজু করা জরুরি নয়। বরং ইচ্ছাধীন বিষয়।
শাইখ বিন বাজ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যখন নামাজের সময় হয় তখন আমার অজু আছে। কিন্তু আমি হয়তো কোনো কিছু খেয়েছি, যার অবশিষ্টাংশ আমার দাঁতে লেগে আছে। এমতাবস্থায় এগুলো দূর করার জন্য কুলি করা কি আমার ওপর আবশ্যকীয়; নাকি আবশ্যকীয় নয়?
তিনি বলেন, খাবারের অবশিষ্টাংশ দূর করার জন্য কুলি করা মুস্তাহাব। মুখে খাবারের কোনো অংশ অবশিষ্ট থাকলে সেটা নামাজের হুকুমে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু গ্রহণকৃত খাবারটি যদি হয় উটের গোশত হয়, তাহলে নামাজের আগে অবশ্যই অজু করতে হবে। কেননা উটের গোশত অজু ভঙ্গকারী। (মাজমুউ ফাতাওয়া বিন বাজ : ২৯/৫২)