রাজধানীর কদমতলীতে ফাহমিদা ফারুকী এশা (২৩) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, মাদকাসক্ত স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় এশাকে হত্যার পর ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এশার স্বামী আল ইমরান সাব্বির পলাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কদমতলী জিয়া সরণি এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় এশাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এশার বাবা ওমর ফারুক সিকদার জানান, অনেকবার চেষ্টা করেও মেয়েকে ফোনে পাচ্ছিলেন না, ফোন বন্ধ পান। পরে মেয়ের জামাইকে ফোন দিলে তার ফোনও বন্ধ পান তিনি। এরপর এশার মাকে ওই বাসায় পাঠালে ওর শাশুড়ি দরজা খুলে বের হন। এশার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে রুমে আছে বলে জানান তিনি। রুমে গিয়ে এশার মা দেখেন মেয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে রয়েছে। পরে তার স্ত্রীর কল পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান, পুলিশকে খবর দেন। তাৎক্ষণিক মেয়েকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, সাব্বির মাদকাসক্ত ছিলেন। তার একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া ছিল। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। তার মেয়েকে জামাইসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। এ ঘটনায় হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের পর সন্ধ্যায় তার আত্মীয় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।