ওয়ালিমা করা নবীজি (সা.)-এর সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে ওয়ালিমা করেছেন এবং সাহাবিদের করতে বলেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) জয়নব বিনতে জাহাশ (রা.)-কে বিয়ে করার পরদিন ওয়ালিমা করেছিলেন। (বুখারি, হাদিস : ৫১৭০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) সাফিয়াহ (রা.)-কে বিয়ের পর তিন দিন যাবৎ ওয়ালিমা খাইয়েছিলেন। (মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদিস : ৩৮৩৪)
আনাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) আবদুর রহমান ইবনে আওফের গায়ে হলুদ রঙের চিহ্ন দেখে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কী? তিনি বললেন, আমি এক খেজুর আঁটির ওজন স্বর্ণ দিয়ে একজন মহিলাকে বিবাহ করেছি। রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ তোমার বিয়েতে বরকত দান করুক। একটি ছাগল দ্বারা হলেও তুমি ওয়ালিমা করো।’ (বুখারি, হাদিস : ৫১৫৫)
ওয়ালিমায় অতিরিক্ত ব্যয় করা কিংবা খুব উঁচুমানের খাবারের ব্যবস্থা করা জরুরি নয়। বরং সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করাই সুন্নত আদায়ের জন্য যথেষ্ট।
বিবাহের ক্ষেত্রে ছেলের জন্যই ওয়ালিমা করা সুন্নত। আজকাল মেয়ের বাড়িতে যে ভোজের আয়োজন করা হয়, তা শরিয়তসম্মত নয়। বিয়েতে মেয়েপক্ষের কোনোরূপ খরচ করার কথা নয়। এরপরও যেটা করা হয়, সেটা সৌজন্যমূলক আপ্যায়ন। (বুখারি, হাদিস : ৬০১৮)
মেয়েপক্ষ যদি স্বেচ্ছায় আয়োজন করতে চায়, তবে অসুবিধে নেই। কিন্তু আয়োজনের জন্য কোনোভাবেই চাপ দেয়া যাবে না। চাপ দেয়া গুনাহ। বিয়ের অনুষ্ঠান ছেলের বাড়িতে হওয়া সুন্নত।