বাড়ি থেকে পালিয়ে নিজের বিয়ে ভাঙলো কিশোরী - News Portal 24
ঢাকাSaturday , ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাড়ি থেকে পালিয়ে নিজের বিয়ে ভাঙলো কিশোরী

নিউজ পোর্টাল ২৪
ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ১২:১২ পূর্বাহ্ন
Link Copied!

ঝালকাঠির নলছিটিতে বাড়ি থেকে পালিয়ে পুলিশে খবর দিয়ে নিজের বিয়ে ঠেকালো ইতু মনি নামে এক স্কুলছাত্রী কিশোরী।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই ছাত্রীর বাবা-মা মারধর করে তাকে বাড়িতে আটকে রাখেন। আজ শুক্রবার বিকেলে প্রবাসী এক ছেলের সঙ্গে বিয়ের কথা ছিল তার। কিন্তু সকাল ৬টার দিকে কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে এক বান্ধবীর বাসায় যায় সে। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের সহযোগিতায় নলছিটি উপজেলা প্রশাসন ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে।

ইতু মনি (১৪) উপজেলার খাগড়াখানা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। মেয়ের ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে বাবা নুরুল ইসলাম হাওলাদার ও মা দুলু বেগমের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের জিম্মায় তাকে দিয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন।

স্কুলছাত্রী ইতু মনির অভিযোগ, বাড়ির পাশের বেল্লাল ঢালী নামে এক সৌদি প্রবাসী যুবকের সঙ্গে শুক্রবার বিয়ে ঠিক করেন তার মা-বাবা। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে বিয়েতে রাজি করানোর চেষ্টা করা হয়। পরে কৌশলে পালিয়ে সে এক বান্ধবীর বাসায় আশ্রয় নেয়। সেখানে বসে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে খবর পাঠায় ওই ছাত্রী।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মেয়েটির বিয়ের বয়স হয়নি। তাকে বাবা-মা জোর করে প্রবাসী এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে চেয়েছে। মেয়েটি ভয়ে বাড়ি থেকে পালায়। আমাকে ফোনে সে বিস্তারিত বলে। আমি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে জানাই। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, ইতু কেবলমাত্র নবম শ্রেণিতে পড়ে। ওকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ অন্যায়। আমি মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়েছি। তাকে পূর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত যেন বিয়ে দেওয়া না হয় সে ব্যাপারে নজর রাখবো।

আরও পড়ুনঃ  দু’টি বই বাতিল করে শিক্ষামন্ত্রীই মিথ্যুক প্রমাণিত হয়েছেন

নলছিটি থানার এসআই মফিজুর রহমান বলেন, ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে তার মা ও বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিয়ে দিতে নিষেধ করা হয়েছে।