কোন মাসে পরকীয়ায় বেশি জড়ান মানুষ? - News Portal 24
ঢাকাSaturday , ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কোন মাসে পরকীয়ায় বেশি জড়ান মানুষ?

নিউজ পোর্টাল ২৪
ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ৩:১৬ অপরাহ্ন
Link Copied!

মানুষ বিভিন্ন কারণে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। কেউ হয়তো মানসিক শান্তি খুঁজতে পরকীয়া করেন আবার কেউবা শারীরিক অপূর্ণতার কারণে।

আসলে কে কখন, কার প্রেমে পড়বেন তা বোঝা মুশকিল। নারী নাকি পুরুষ কাদের মধ্যে পরকীয়ার হার বেশি, তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও বছরের কোন মাসে মানুষ বেশি পরকীয়ায় জড়ান তা উঠে এসেছে এক সমীক্ষায়।

ব্রিটেনের এক বিখ্যাত ম্যারেড ডেটিং সাইটের এক সাম্প্রতিক সমীক্ষা অংশগ্রহণ করেন প্রায় ২ হাজার মানুষ। সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে অবাক করা সব তথ্য।

এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, কোন মাসে মানুষের মধ্য়ে পরকীয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে ও কী কারণে মানুষ পরকীয়ায় ঝোঁকেন সে সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করেছেন তারা।

সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ২১ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন, করোনা মহামারির দীর্ঘ লকডাউনের পর অফিসে ফিরেই নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তারা।

অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রেও এই ঝোঁক দেখা গেছে। এই ডেটিং সাইটের সমীক্ষা অনুযায়ী, প্যানডেমিকের পর পরকীয়া বা সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণার ধরনেও বদল এসেছে।

দীর্ঘ লকডাউনে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কারণে দীর্ঘসময় সঙ্গীর সঙ্গে বাড়ির মধ্য়ে একসঙ্গে থাকায় কিছুটা একঘেয়েও লাগতে শুরু করে তাদের।

এতে একসময় নিজের সঙ্গীকে কম আকর্ষণীয় বোধ হয়েছে। ৩১ শতাংশ পুরুষের ক্ষেত্রেই এমনটি ঘটেছে। আবার ২৯ শতাংশ নারীরাও এমনটি বোধ করেছেন।

কোন মাসে বাড়ে পরকীয়ার প্রবণতা?

সমীক্ষা অনুযায়ী, বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় সেপ্টেম্বরে বাড়ে পরকীয়ায় প্রবণতা। বিভিন্ন দেশে দীর্ঘদিন ধরে গরমের ছুটি চলার পর শরৎকাল আসতেই পরকীয়ার প্রবণতা বাড়ে নারী-পুরুষের মধ্যে।

সেপ্টেম্বর মাসেই নাকি পরকীয়ার ঝোঁক বেশি থাকে বলে জানাচ্ছে ব্রিটেনের ওই ডেটিং ওয়েবসাইটের সমীক্ষার ফলাফল। সেখানে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যে, কোন কোন মাসে পরকীয়ার ঝোঁক বেশি-

>> সেপ্টেম্বর
>> জানুয়ারি
>> জুলাই
>> জুন
>> অগাস্ট
>> মে
>> অক্টোবর
>> মার্চ ও
>> নভেম্বর।

আরও পড়ুনঃ  ওজন কমাতে কখন ডিম খাবেন?

কিভাবে বুঝবেন আপনার স্বামী/ স্ত্রী কোনো পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন কিনা?

আসুন জেনে নেয়া যাক কি কি লক্ষণে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার স্বামী/ স্ত্রী পরকীয়া করছেন কিনা।

১. সঙ্গী যদি ফোন বা ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েন

সঙ্গী ফোনের পেছনে কতটা সময় ব্যয় করছেন সেদিকে নজর রাখুন। একসাথে বসে থেকে বা ঘুরতে গেলে যদি তিনি ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, মেসেজ বা ইন্টারনেট ব্রাউজিং করেন- তাহলে তা নিশ্চিতভাবে অন্য একটি সম্পর্কেরই ইঙ্গিত। এছাড়া দিনের বেশিরভাগ সময়ে যদি তাকে ফোনালাপে ব্যস্ত পাওয়া যায় তাহলেও বিষয়টি লক্ষণীয়। অনেকে বলতে পারেন কাজের প্রয়োজনে মানুষ ফোন বেশি ব্যবহার করতেই পারে।

কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, কাজের প্রয়োজনে ফোনালাপ এবং কারোর সাথে প্রেমময় ফোনালাপের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে এবং এই পার্থক্য বোঝার মত ক্ষমতাও বিবাহিত প্রত্যেক মানুষের হওয়া উচিত। শুধুমাত্র ফোন নয়, ফেসবুক কিংবা অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যমের প্রতি আসক্তির মাত্রার ওপরও নজর দেবেন।

২. তিনি যদি আপনার ও পরিবারকে আগের তুলনায় কম সময় দেন

সঙ্গী যদি আপনাকে আগের চেয়ে কম সময় দেওয়া শুরু করেন, তাহলে এটিও একটি লক্ষণ হিসেবে ধরে নেয়া যায়। খুব ভালো করে আপনার সঙ্গীর প্রতিদিনকার কাজকর্ম লক্ষ্য করুন। যদি বুঝতে পারেন যে আগের চাইতে কম সময় পাচ্ছেন, তাহলে বোঝার চেষ্টা করুন সেই বাড়তি সময়টা তিনি কীভাবে ব্যয় করছেন। আপনি তাকে সময় দেওয়ারর কথা বলে দেখুন, একসঙ্গে বসে টিভি দেখার কথা বলুন, একসঙ্গে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করুন, আত্মীয় স্বজনদের ও পারিবারিক বন্ধুদের সময় দেওয়ার কথা বলুন।

তিনি যদি আপনাকে অজুহাত দেখিয়ে না বলেন তাহলে জানার চেষ্টা করুন অজুহাতটি সত্যি কিনা। সঙ্গী যদি পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করে বিনা কারণে, তাহলে ধরে নিতে পারেন তিনি পরকীয়ায় লিপ্ত। অবশ্য তিনি নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলে সেটা আলাদা বিষয়। এই পার্থক্যটা আপনাকেই বুঝতে হবে। তবে একটু সময় নিয়ে নোটিশ করুন। এই স্পর্শকাতর বিষয়গুলিতে কোনো তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেবেন না।

আরও পড়ুনঃ  ওজন কমাতে কখন ডিম খাবেন?

৩. নতুন কোন নাম

আপনার সঙ্গীটির মুখে যদি নতুন কোন একটি নাম ঘন ঘন শুনতে পান, তবে এটাও পরকীয়ার একটা ইঙ্গিত। সঙ্গীর যে বন্ধুটির কথা আগে কখনো শোনেননি, এমন কারোর কথা ঘনঘন শুনলে তাকে জিজ্ঞেস করুন এবং তার মুখের ভাব লক্ষ্য করুন। যদি তিনি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান, কিংবা তার মুখের অভিব্যক্তি বদলে যায় তবে বিষয়টি অবশ্যসই চিন্তার।

৪. অকারণে রেগে যাওয়া

আরও একটি বিষয় আছে যা বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়। তা হল আপনার সঙ্গীর কথায় রাগের সুর। খেয়াল করে দেখুন তো, আগে যে বিষয়গুলো আপনার সঙ্গীর রাগের উদ্রেক করতো না সেসব বিষয়ে কি তিনি রেগে যাচ্ছেন? কিংবা কথায় কথায় আপনাদের দাম্পত্য জীবনকে অভিশাপ হিসেবে অভিহিত করছেণ? তার এসব কথার কোন যুক্তি আছে কিনা এইসব ব্যাপারগুলো লক্ষ্য করুন। বিনা কারণে অযৌক্তিক রাগ করা, কিংবা সবসময় খিটখিট করা পরকীয়ার অন্যতম লক্ষণ।

৫. আপনার সাথে যৌনসম্পর্কে উদাসীনতা

সঙ্গী যদি আপনার সাথে যৌনসম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন তাহলে আপনি এটি পরকীয়ার নিশ্চিত লক্ষন হিসেবে ধরতে পারেন। যিনি অন্যের সাথে সময় কাটিয়ে আপনার প্রতি উদাসীন, তার মুখের অভিব্যক্তিই আপনাকে সব কথা বলে দেবে। আপনার সাথে সম্পর্ক স্থাপনে সঙ্গী আগ্রহী নন, অর্থাৎ তার চাহিদাটি পূরণ হচ্ছে অন্য কারোর মাধ্যমে। এছাড়াও অভ্যাস বশত যৌন সম্পর্ক করছেন কিনা স্রেফ আপনাকে খুশি করতে, সেটিও লক্ষ্য করুন।

৬. আপনার প্রতিদিনের রুটিন খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করা

খেয়াল করে দেখুন আপনার স্বামী/ স্ত্রী আপনার প্রতিদিনকার রুটিন সম্পর্কে হঠাৎ অতিরিক্ত নজর দিচ্ছেন কিনা অর্থাৎ আপনি কটায় বাড়ি ফিরবেন বা কোন কোন জায়গায় কখন যাবেন এই ধরনের প্রশ্ন করছেন কিনা। তাহলে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে আপনার চোখ এড়িয়ে নিরাপদে সম্পর্ক চালিয়ে যেতেই তার এত জিজ্ঞাসা।

আরও পড়ুনঃ  ওজন কমাতে কখন ডিম খাবেন?

৭. তিনি যদি হঠাৎ নিজের সৌন্দর্য সম্পর্কে অতিরিক্ত সচেতন হয়ে উঠেন

আপনার স্বামী/স্ত্রী যদি হঠাৎ নিজের ত্বক, সাজগোজ, শারীরিক গঠন কিংবা পরিহিত পোশাক আশাকের দিকে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে শুরু করেন, তাহলে আপনি একে পরকীয়ার একটি লক্ষণ হিসেবে ধরে নিতে পারেন। এখানে একটি বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া দরকার যে সঙ্গী আপনার জন্যই নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করছেন কিনা। কারন অনেক স্বামী/স্ত্রীই আছেন যারা দাম্পত্য জীবনে পুনরায় রোমান্স ফিরিয়ে আনতে এই পন্থা বেছে নেন। কিন্তু আপনি এই দ্বিধাবোধের অবসান করতে পারেন নিজেকে ২/৩ টি প্রশ্ন করে।

আর তা হল, আপানার স্বামী/স্ত্রী কি আপনার পছন্দ অনুযায়ী নিজেকে উপস্থাপন করছেন? তিনি কি শুধুমাত্র আপনাকে দেখানোর জন্যই বিশেষ পোশাক ও সাজগোজ করেন? আমাকে কেমন দেখাচ্ছে এই ধরনের প্রশ্ন আপনাকে করা হচ্ছে কিনা সেটাও লক্ষ্য করুন। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি ‘না’ হয়, তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন আপনার সঙ্গী পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িত আছেন।