উত্তম সঙ্গীর জন্য সাহাবিদের দোয়া - News Portal 24
ঢাকাSaturday , ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

উত্তম সঙ্গীর জন্য সাহাবিদের দোয়া

নিউজ পোর্টাল ২৪
ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ৬:০২ অপরাহ্ন
Link Copied!

উত্তম সঙ্গী লাভ করা, ভালো মানুষের সাহচর্য গ্রহণ করা—এটা জীবনের বড় একটি পাওয়া। মানুষের জীবন পরিবর্তনে উত্তম সঙ্গীর প্রভাব থাকে প্রকটভাবে। দুনিয়াতে যত আদর্শ মানুষ এসেছে, তারা সবাই শ্রেষ্ঠ লোকদের সাহচর্য গ্রহণ করেই সম্মানের মুকুট পরিধান করেছে। ভালো সঙ্গী মানুষকে আলোর পথ দেখায়। আর মন্দ সঙ্গী মানুষকে মন্দের দিকে টেনে নিয়ে যায়। এটাই দুনিয়ার চিরাচরিত নিয়ম। মানুষ সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় সঙ্গীর কারণে। সঙ্গীর ভালো গুণগুলো খুব সহজেই মানুষের মাঝে সংক্রমণ হতে থাকে। এ জন্য হাদিসে ভালো সঙ্গী গ্রহণ করার কথা এসেছে।

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর রীতিনীতির অনুসারী হয়। কাজেই তোমাদের প্রত্যেকেই যেন লক্ষ্য করে, সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৩৩)

সাহাবায়ে কেরাম ও আগের মুসলিম মনীষীরা উত্তম সঙ্গীর জন্য রীতিমতো আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। উত্তম সঙ্গীর যথার্থতা তাঁরা খুব ভালোভাবেই বুঝেছিলেন। তাঁরা জানতেন, একজন মানুষের পথভ্রষ্ট হওয়ার জন্য খারাপ সঙ্গীই যথেষ্ট। সে জন্য আল্লাহ তাআলা কোনোক্রমেই যেন খারাপ সঙ্গী জীবনে না মেলান, এই প্রার্থনা ছিল তাঁদের।

ইবরাহিম (রহ.) বলেন, আলকামা (রহ.) একবার সিরিয়ায় গেলেন। যখন মসজিদে প্রবেশ করলেন, তখন তিনি দোয়া করলেন, হে আল্লাহ, আমাকে একজন ভালো সঙ্গী মিলিয়ে দিন। তখন তিনি আবু দারদা (রা.)-এর কাছে গিয়ে বসলেন। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কোথাকার লোক। আমি বললাম, কুফার অধিবাসী। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৭৪৩)

আরেক হাদিসে এসেছে, হুরায়স ইবনে কাবিসা (রহ.) বলেন, আমি মদিনা এসে আল্লাহর কাছে দোয়া করি, হে আল্লাহ, আপনি আমাকে একজন সৎ সঙ্গী দান করুন। তারপর আমি এসে আবু হুরায়রা (রা.)-এর মজলিসে বসলাম এবং তাঁকে বললাম, আমি মহান আল্লাহর কাছে একজন সৎ সঙ্গী পাওয়ার জন্য দোয়া করেছি। অতএব আপনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে শোনা এমন একটি হাদিস আমাকে বর্ণনা করুন, যা দ্বারা আমাকে উপকৃত করবেন। আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম তাঁর বান্দা থেকে নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। নামাজ যথাযথভাবে আদায় হয়ে থাকলে সে সফল হবে ও মুক্তি পাবে। নামাজ যথাযথ আদায় না হয়ে থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হবে। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৪৬৫)

হে আল্লাহ, আপনি ভালো মানুষের সঙ্গে জীবন-যাপন করার তাওফিক দান করুন।