মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার
সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় আগ্রহী কৃষকরা। চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ সরিষার আবাদ হয়েছে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার। মৌসুমি সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় আবাদে মনোযোগ দিয়েছে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর উপজেলার রেকট পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। উপজেলার কৃষকরা স্থানীয় জাতের পাশাপাশি বারি সরিষা-৪, ৯, ১৪ ও ১৫, বিনা-৪ ও ১১, সরিষার আবাদ করে লাভের মুখ দেখছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে চাষ করা হয়েছে বিভিন্ন জাতের সরিষা। দৌলতপুর উপজেলার উল্লেখযোগ্য চরকাটারী, বাচামারা, বাঘুটিয়া, জিয়নপুর, চকমিরপুর, কলিয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় সরিষা চাষ করা হয়েছে। ফসলের মাঠের শোভাও বাড়িয়ে তুলেছে সরিষা ক্ষেত। মাঠের চারিদিক যেন হলুদে হলুদে পরিপূর্ণ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
চরকাটারী ইউনিয়নের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘৩ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। গত কয়েক বছর ধরেই অন্য ফসল চাষে তেমন লাভ হয় না। আর এ কারণেই প্রতি বছরই লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই বিকল্প ফসল হিসেবে অন্য ফসলের পাশাপাশি সরিষা চাষের প্রতি আগ্রহী হয়েছি।’
একই ইউনিয়নের কৃষক লালচান ফকির বলেন, ‘চলতি মৌসুমে সার, বীজ, কীটনাশক সরবরাহের পাশাপাশি প্রায় দুই বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। এখন ভালো ফলন আশা করছি। এরপর সরিষা তুলে নিয়ে ওই জমিতে ধান লাগাবো।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানান চলতি মৌসুমে উপজেলার সব ইউনিয়নের ফসলী জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার আবাদ থেকে কৃষকরা বাড়তি মুনাফা আয় করতে পারবেন। এছাড়া চলতি বছর বিঘাপ্রতি সরিষার পরিমাণ ধরা হয়েছে সাড়ে ৫ থেকে ৭ মণ।