মোবাইলে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়া মানে কোম্পানির কাছ থেকে টাকা ধার করা বা ঋণ নেওয়া। আর ইসলামে ঋণ পরিশোধ করা আবশ্যক। এতে গড়িমসি কাম্য নয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে সচ্ছল ব্যক্তি ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করে, তাকে অপমান ও শাস্তি উভয়টিই দেয়া আমার জন্য হালাল।’ (সুনানে নাসায়ি : ৪৬৯০)
কেউ ঋণ করার পর তা পরিশোধ না করলে পরকালে আল্লাহর দরবারে তাকে জবাবদিহিতা ও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘ঋণ পরিশোধ করা ছাড়া মারা গেলে হাশরের ময়দানে নিজের নেকি থেকে ঋণের দাবি পূরণ করতে হবে।’ (সহিহ বুখারি : ২৪৪৯)
হাদিসের আলোকে বুঝা যায় কেউ ঋণ করলে যথাসম্ভব তা পরিশোধ করতে হবে। ঋণ পরিশোধ না করে আল্লাহর আদালত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। আল্লাহর রাস্তায় শহিদ ব্যক্তির ঋণও মাফ করা হবে না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ঋণ পরিশোধের পাপ ছাড়া শহিদের সব পাপই মাফ দেয়া হবে।’ (সহিহ মুসলিম : ২৯১২)
তবে কোনো ব্যক্তি যদি ঋণ রেখে মারা যায়, তাহলে মৃতের সব সম্পদ বিক্রি করে হলেও পরিবারকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। (সহিহ বুখারি : ২৪৪৯)
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মৃতের অসিয়ত পূরণ করার পর এবং তার ঋণ পরিশোধের পর (তার সম্পত্তি বণ্টিত হবে)।’ (সুরা নিসা : ১১)
তেমনি মোবাইলে অগ্রিম ব্যালেন্স নেওয়ার পর যদি কেউ মৃত্যুবরণ করে, তাহলে সেটি দেনা হিসেবে থেকে যাবে। সেটা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। সাধারণত কোনো মানুষ মারা গেলে, তার মোবাইল সন্তান বা পরিবারের অন্যরা ব্যবহার করে থাকেন। এবং পরবর্তী রিচার্জের মাধ্যমে যেহেতু এটি একজাস্ট করা হয় বা কেটে নেওয়া হয়; অতএব এর মাধ্যমে তিনি দায়মুক্ত হবেন। মোটকথা, তার উত্তারাধিকাররা তার সম্পদ থেকে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স পরিশোধ করবেন।