বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারকে কসবা উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা - News Portal 24
ঢাকাSunday , ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারকে কসবা উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা

Link Copied!

সমাজসেবা সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক, জাতীয় মানব কল্যাণ পদক ২০২০ অর্জন করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, যুদ্বাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারকে কসবা উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং উক্ত অনুষ্ঠানে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের সময় আমাদের দেশের সকল কিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার এবং ধ্বংস করে দিয়েছিল, যুদ্ধে ছারখার হওয়া এই দেশকে স নির্ভর করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন কাজ শুরু করেন এবং ১৯৭৫ এর কর্মসূচি শুরু করেন তখনই ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, ১৯৭৫ এরপর থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের কোন মূল্য ছিল না, ওই সময় কোন মুক্তিযোদ্ধা নিজেদের পরিচয় দিতে পারিনি, ১৯৯৬ সনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন আওয়ামী লীগ এবং মুক্তিযুদ্ধ চেতনাকারী সরকার হন তখন থেকে মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পেয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের বাঙালি সেনাবাহিনীর যে সকল সেনা সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল, তাদেরকে বিচার করার জন্য যে ট্রাইবুনাল করেছিলেন সেই ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান ছিলেন এরশাদ সাহেব। অথচ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পিতা সমতুল্য দাবি করেন। তিনি তার রাষ্ট্রক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করে রাখার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ব্যবহার করেন, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু করে যাননি তিনি।

একমাত্র আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ চেতনাকারীর সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করেন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সকল সুযোগ সুবিধা সকল কিছুতে মূল্যায়ন করতেছে এবং তা ধারাবাহিকতায় থাকবে। আল মামুন সরকার আরো বলেছেন শেখ হাসিনা সরকার প্রথম আসার পর মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০০ টাকার সম্মান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের একটা তালিকা তৈরি করেন, তখন থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জাগরণ এবং আস্থা তৈরি হয় মুক্তিযোদ্ধা চেতনাকারী সরকার বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার উপর মুক্তিযোদ্ধাদের। তখন থেকে শুরু করে আপনাদের সম্মানী ২০ হাজার টাকা হয় আপনারা আনন্দিত হন।

আরও পড়ুনঃ  মুসাদ্দেক হোসেন বাবলু'র যুক্তরাষ্ট্র গমনে রাহমানিয়া মাদ্রাসায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

জনাব আল মামুন সরকার আরো বলেন, বর্তমান সরকার গরীব দুঃখী গৃহহীন মানুষদের জন্য আশ্রয় প্রকল্প তৈরি করেছেন এবং করতেছেন, এরমধ্যে আপনাদের কসবা উপজেলার ৪নং খাড়ারা ইউনিয়নের মনকাশায়ের মুজাইয় বৃহৎ দ্বিতীয় আশ্রয় প্রকল্প তৈরি করেছেন যেখানে ৪০০ সর অধিক ঘর হয়েছে, একে একে আশ্রয়হীন মানুষদের তাদের ঘর তাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার এর সকল উন্নয়নমূলক কাজ অগ্রগতি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে যাবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত এবং আমন্ত্রিত মেহমান ছিলেন, এড. রাসেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন সাহেব বর্তমান চেয়ারম্যান কসবা উপজেলা পরিষদ ব্রাক্ষণবাড়ীয়া, জনাব মোঃ গোলাম হাক্কানী মহোদয়।
মেয়র কসবা পৌরসভা ব্রাক্ষণবাড়ীয়া।

আরো উপস্থিত ছিলেন, কসবা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রা, উপজেলা সাবেক কমান্ডার শহিদুল্লাহ প্রমুখ, এবং উপজেলার সকল ইউনিয়ন কমান্ডার জনাব এম এ আজিজ সাহেব প্যানেল চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ ব্রাক্ষণবাড়ীয়া।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল ভাই, সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ কসবা ব্রাক্ষণবাড়ীয়া।