১৭ জানুয়ারি সকালে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার বরাম বাজারের পাশে ইছামতী নদীর তীরে হাত-পা বাঁধা এক যুবকের লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর পরিচয়ের খোঁজ করতে গিয়ে ঘটনার পেছনের চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটনের দাবি করেছেন তাঁরা।
পুলিশের ভাষ্য, স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের বলি হন মোকসেদুর রহমান (৪০) নামের ওই যুবক। তিনি ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকার মৃত হাবিবুল্লাহর ছেলে। তাঁকে হত্যার কয়েক দিন পর সৌদি আরব চলে যান তাঁর স্ত্রীর কথিত প্রেমিক জাহিদ সরকার।
রোববার রাতে গেন্ডারিয়া থেকে মোকসেদুরের স্ত্রীকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে সিরাজদীখান থানায় নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে এ হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসে বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক।
পুলিশ জানায়, ২২ বছর আগে বরিশালের বাবুগঞ্জে বিয়ে করেন মোকসেদুর রহমান। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার গেন্ডারিয়ার বাসায় থাকতেন। তাঁদের সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। একই এলাকায় বাস করেন সিরাজদীখানের কালীপুর গ্রামের এক নারী। তাঁর সঙ্গে মোকসেদুরের স্ত্রীর সখ্য গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে ওই নারীর ভাই জাহিদের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। বিদেশ পাঠানোর নাম করে সম্পর্ক গভীর করে জাহিদ, যা একসময় প্রেমে গড়ায়।
ওসি মিজানুল হক বলেন, ৩ জানুয়ারি বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে আলোচনার জন্য স্বামী মোকসেদুরকে সিরাজদীখানে জাহিদের কাছে পাঠান তাঁর স্ত্রী। কালীপুর গ্রামে জাহিদের বাড়িতে রাতে তাঁকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। পরে দুই সহযোগীকে নিয়ে মোকসেদুরকে হত্যা করেন জাহিদ। পরে তাঁর লাশ হাত-পা বেঁধে ইছামতী নদীর তীরে ফেলে দেন। পরে ১১ জানুয়ারি তিনি (জাহিদ) সৌদি আরব পাড়ি জমান।
১৭ জানুয়ারি মোকসেদুরের লাশের ময়নাতদন্ত হয় মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে।
রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার একটি সূত্র জানায়, ওই ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় স্ত্রী ৫ জানুয়ারি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই জিডি ও হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধারের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরে তদন্তে নেমে ওই যুবকের পরিচয় জানতে পারে পুলিশ