দৌলতপুরে খালের উপর ঝুঁর্কিপূর্ণ ভাঙা সেতু - News Portal 24
ঢাকাTuesday , ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

দৌলতপুরে খালের উপর ঝুঁর্কিপূর্ণ ভাঙা সেতু

আব্দুল আল মামুন, বিশেষ প্রতিনিধি
জানুয়ারী ৩১, ২০২৩ ৫:২৩ অপরাহ্ন
Link Copied!

খালের উপর ৩২ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত সেতু এক পাশ ভেঙে বসে পড়েছে। নির্মাণের দুই বছরের মাথায় ২০২০ সালে সেতুটি ভেঙে যায় এবং দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটিও স্রোতে ভেসে যায়। এতে দূর্ভোগে পড়ে সেতু দিয়ে চলাচলকারী কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

সারা বছর তাদের নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। দৌলতপুর সদর চকমিরপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর খালেক মাষ্টারের বাড়ির সামনে খালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

সেতুটি ভেঙে পড়ায় দৌলতপুর, চকহরিচরন, রামচন্দ্রপুর, খলসি ও জিয়নপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষকে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা সদর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে নির্মিত ভাঙা সেতুটি মেরামত না হওয়ায় ওই সেতু দিয়ে চলাচলকারী মানুষজন কয়েক কিলোমিটার ঘুরে অন্য সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা প্রকল্পের আওতায় ৩২ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬৫ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দৈর্ঘের সেতুটি নির্মাণ করে মেসার্স এল রহমান নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দৌলতপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সেতুটির নির্মাণ তত্বাবধান করে।

২০১৮ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। কিন্তু দুই বছরের মাথায় ২০২০ সালের বন্যায় সেতুর উত্তর পাশের অ্যাপার্টমেন্ট ওয়াল দেবে ভেঙে যায় সেতু। এরপর দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ভাঙা সেতু সংস্কার কিংবা ওই খালের উপর নতুন কোন সেতুর ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ।

চকহরিচরন গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন বলেন, অপরিকল্পিত ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারনে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেতুটি ভেঙে পড়ে। সেতু ভাঙার পর থেকে দুই বছর ধরে স্থানীয়রা দূর্ভোগ নিয়ে চলাচল করলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। দ্রুত সেতুটি সংস্কার অথবা নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

চকমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, খালের আয়তনের তুলনায় সেতুর দৈর্ঘ্য অনেক কম থাকায় এবং ঠিকাদার প্রভাবশালী নেতার নিজের লোক হওয়ায় নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ করায় পানির স্রোতে মাটি ধ্বসে সেতুটি ভেঙে পড়ে। সেতু ভাঙার পর আমি একাধিক বার পি আই ও অফিস ও এল জি ইডি অফিসকে জানিয়েছি তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। খালের উপর দ্রুত একটি নতুন সেতু নির্মানের দাবি জানান তিনি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মোমিনুর রহমান বলেন, ২০২০ সালের বন্যায় খালে পানির প্রবল স্রোতে সেতুর নিচে ও দুই পাশের মাটি সরে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে। আগের সেতুটি ৪০ ফুট লম্বা ছিল, এখন খালের দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় বড় সেতু নির্মাণ করতে হবে। ৪০ ফুটের বড় সেতু দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা অধিদপ্তরের আওতায় পড়ে না। আমি স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে কথা বলেছি তারা নতুন সেতুর ব্যবস্থা করবে।