যমজ বোন মারজানা ইসলাম ও মারজিয়া ইসলাম। দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের সালামপুর আমিনিয়া ফাজিল মাদরাসা থেকে এবারের দাখিল পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পায় তারা।
তবে এমন ভালো ফলাফল যেন দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে দরিদ্র কৃষক বাবা মায়ের। বড় মেয়ে ও দুই ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পড়াতে গিয়ে ইতোমধ্যে অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তারা। তার ওপর যমজ দুই বোন জিপিএ-৫ অর্জন করায় আরও বিপাকে পড়েছেন। দুজনকে কলেজে ভর্তি করানো নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন, বাবা-মা।
মারজানার বাবা জানান, আমি এই কৃষিকাজ দিয়ে ছেলেমেয়ে সবাইকে পড়েছি। মেয়ে দুটিকে ভালো কলেজে যেন পড়াতে পারি, সেই চিন্তায় আছি।
তাদের মা জানান, তারা দুজনেই জিপিএ-৫ পেয়েছে। কিন্তু আরও লেখাপড়া করাব, এমন সামর্থ্য নেই।
প্রতিদিন দুই থেকে তিন কিলোমিটার পায়ে হেঁটে মাদরাসায় গিয়ে পড়ালেখা চালিয়েছে এ দুই বোন। এখন তাদের ইচ্ছে ভালো কোনো কলেজে ভর্তি হবার। পড়ালেখা করে অনেক দূর এগিয়ে যাবার স্বপ্ন এই দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর।
তবে মেধাবী শিক্ষার্থীরা যেন ঝরে না পড়ে, তার জন্য বৃত্তি, উপবৃত্তি ও মেধা বৃত্তিসহ নানান সহায়তার কথা জানান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
সালামপুর আমিনিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ ত ম অলিউর রহমান জানান, তারা চেষ্টা করত কীভাবে ভালো ফল করা যায়। ভবিষ্যতে তারা মেডিকেলে পড়তে আগ্রহী।
পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান জানান, যেসব শিক্ষার্থী ভালো পড়াশোনা করেন, প্রতিষ্ঠানের মুখ উজ্জ্বল করেন, ওই জাতীয় শিক্ষার্থীদেরকে আমরা সুবিধা দিয়ে থাকি।
দরিদ্রতার অভাবকে জয় করে সকল বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে মেধাবী এ যমজ দুই বোন ভালো একটা কলেজে ভর্তি হতে পারবে, এমটাই প্রত্যাশা করছেন শিক্ষক, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।