বছরের শেষ দিন বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক থাকে অনেকের। তার ব্যতিক্রম হয়নি গত বছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বরও। অনেকের মতো সেদিন অনলাইনে বিরিয়ানি অর্ডার করেছিলেন ভারতের কেরালার ২০ বছর বয়সী এক তরুণী। কিন্তু স্বপ্নেও হয়তো তিনি ভাবতে পারেননি, কী হতে চলেছে এর পরিণতি।
সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, গত ৩১ ডিসেম্বর অনলাইনে বিরিয়ানি অর্ডার করেছিলেন অঞ্জু শ্রীপার্বতী নামে ওই তরুণী। সেই বিরিয়ানি খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর থেকে তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৭ জানুয়ারি) মৃত্যু হয় তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেরামবুলা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ওই তরুণী। বিরিয়ানি খাওয়ার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মনে করা হচ্ছে তার খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়েছিল। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও তিনি সুস্থ হতে পারেননি। মেয়ের মৃত্যুর পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তার বাবা-মা।
এদিকে কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ফুড সেফটি কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে এই খাদ্যে বিষক্রিয়ার অভিযোগটি নিয়ে তদন্ত করে দেখা হয়।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, ফুড সেফটি ও স্ট্যান্ডার্ড অ্যাক্ট অনুসারে অভিযুক্ত হোটেলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে ওই তরুণীর মরদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই অনুসারে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ফুড সেফটি কমিশনার ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁটি পরিদর্শন করেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে সেখানে ‘আপত্তিকর’ কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত চলছে।
সম্প্রতি রেস্তোরাঁর খাবার খেয়ে রেশমি নামে এক নার্সের মৃত্যু হয় কোট্টায়াম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ওই রেস্তোরাঁর খাবার খেয়ে সেদিন আরও ২০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এ ছাড়া গত ১ জানুয়ারি কেরালায় একটি চার্চের অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে অন্তত ১০০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।