ভোলার বোরহানউদ্দিনে পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নমিতা রানী বৈদ্য ও তার স্বামী হরিপদ বৈদ্য উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে একই বাড়ির সুধারাম বৈদ্য,শুভ বৈদ্য, বাঞ্ছারাম বৈদ্য,ভালো রানি বৈদ্য, লিপি রানী বৈদ্য, গৌরাঙ্গচন্দ্র বৈদ্যের বিরুদ্ধে।
২৮ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১১ টায় নমিতা রানী বৈদ্য ও হরিপদ বৈদ্য অভিযোগ করে বলেন,দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছে আমরা জিম্মি তারা প্রভাবসালি হওয়ার কারণে প্রাণের ভয়ে আমরা মুখ বুজে সব সহ্য করে আসছি আমাদেরকে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে এবং আমাদের নিজ পৈত্রিক সম্পত্তি তারা দখল করতে চায়।
তারা জানান, মঙ্গলবার ২৭ শে ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় হরিপদ বৈদ্যর নিজ ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে ঘরের সীমানা বাড়ানোর কাজ আরম্ভ করলে সুদারাম বৈদ্যর নেতৃত্বে শুভ বৈদ্য,বাঞ্ছারাম বৈদ্য,ভালো রানি বৈদ্য, লিপি রানী বৈদ্য,গৌরাঙ্গ বৈদ্য সহ ৭ থেকে ৮ জন তাদের উপর হামলা করে এলোপাতাড়ি মারধর করে। নমিতা রানী বৈদ্যকে তার কাপড়-চোপড় টানিয়া ইজ্জত হানির চেষ্টা করে।
এ সময় তার স্বামী হরিপদ বৈদ্য এগিয়ে আসলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার সাবাল দিয়ে মাথায় বাড়ি দেয় এবং নাকে ও বুকে কিল ঘুষি মেরে মারাত্মকভাবে যখম করে।
এ সময় তারা জানান,তাদের ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙ্গে নগদ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা,নমিতা রানী বৈদ্যর গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৮০ হাজার টাকা এবং আটআনি ওজনের গলার চেইন যার অনুমানিক মূল্য ৪০ হাজার টাকা তা ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা।
আহতরা জানান, সুধারাম বৈদ্য পুলিশের চাকরি করে বিদায় সেই ক্ষমতা বলে চাকরি থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসে তাদের উপর হামলা চালায় এবং তাদেরকে মামলা দিয়ে জেলে পাঠাবে ও আবারো হামলার ভয় দেখায়।
এদিকে স্বজনরা খবর পেয়ে আহতদের ২৭ শে ডিসেম্বর সকালেই বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক হরিপদ বৈদ্যর অবস্থার অবনতি দেখে ভোলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
এ ঘটনায় নমিতা রানী বৈদ্য বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্তরা জানান, তাদের সাথে কথা কাটাকাটি এবং দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে জমি নিয়ে।