ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবার – News Portal 24
ঢাকাWednesday , ১১ মে ২০২২

ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবার

নিউজ পোর্টাল ২৪
মে ১১, ২০২২ ৪:০৫ অপরাহ্ন
Link Copied!

ইমাম হোসেন হিমেল, নিজস্ব প্রতিবেদক:: সকাল থেকেই বউ চিল্লাচিল্লি করছে তেল, নুন, ডাল, আলু, বাচ্চার দুধ সব শেষ দুইদিন ধরে হাওলাত করছি আইজ আর মানষের বাড়ি যাইতে পাড়মুনা। বাজারে যাও পাঁচশত টাকা নিয়ে দোকানে আইছি দুই কেজি তেল কিনছি এখন আর টাকা নেই ব্যাগ লইয়া এহন বইসা রইছি। এভাবেই বলছিলো এক মধ্যবিত্ত যুবক।

খুবই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া মানুষদের শখ আহ্লাদের একটা সূক্ষ্ম রেখা থাকে, যেটা অজান্তেই গ্রো করে এবং টপকাতে সাহস হয় না। খুব ছোট থেকেই অর্থ উপার্জনের ইঁদুর দৌঁড়ে নেমে এরা নিজেদের সব শখ আহ্লাদ অচিরেই ভুলে থাকতে পারে। কেউ কেউ সামান্য অর্থ জমিয়ে বয়স্ক বাপ, মা, অবিবাহিত বোন, দিদি, ভাইয়ের জন্যে দু’মুঠো খুশি আনতে আনতেই জীবনের অর্ধেক সময় কাটিয়ে দেয়।

কলাপাড়া উপজেলার মধ্যবিত্ত পরিবারের কপালে তেমনই চিন্তার ভাজ কিভাবে কাটাবে সামনের দিনগুলো লাগামহীন বাজারে সংসার চালাতে কষ্ট হয় তাদের একদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে বাহিরে অন্য দিকে কাজ নেই সব মিলিয়ে ভালোনেই মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।

বাজারে সব জিনিসের দাম অনেক বেশি প্রয়োজনীয় সব কেনাকাটা হচ্ছে না। দুই এক ধরনের মালামাল ক্রয় করলেই পকেট ফাঁকা পরিবারের চাহিদা তো দূরের কথা দুই এক জনের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। অনেকের কাটেনি ভালোভাবে ঈদও ইনকামের সব সোর্স বন্ধের দিকে।

বিলাসিতা তো দূরের কথা খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাই এখন মুশকিল এর মধ্যে প্রধান সমস্যা সয়াবিন তৈল যা কিনলেই আর অন্য কিছু কেনার সামর্থ্য থাকেনা বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসলে সামনের দিনগুলো আর চালানো যাবেনা।

এছাড়াও আলু, পেয়াজ, লবণ, ডাল, চাল, সব যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, মনে হয় প্রতিযোগিতাকে কার আগে যেতে পাড়ে সাধারণ মানুষকে পিষ্ট করে। বাজারের ব্যাগেরও এসেছে অনেক পরিবর্তন যাঁরা আগে ১০ টাকার ব্যাগ নিয়ে বাজারে যেত তাঁরাই এখন পলিথিনে বাজার আনছে তাও অর্ধেক খালি এভাবে মধ্যবিত্তদের জীবন।

ধারদেনা করে অনেকেই মুগডাল চাষ করেছিলো বিক্রি করে দোকান পাটের টাকা দিবে, সেই আশাও বৃষ্টির পানিতে শেষ। লোকসান হয়েছে অনেক লক্ষ টাকা যার প্রভাব পড়বে বোরো আমন ধানে।

ক্ষোভ করে অনেকেই বলছিলো এই কথা গুলো,
আমরা আজ সারা বাংলাদেশে অসহায় একটা জাতি  দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালে বাহিরে চলে যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার স্বপ্নে বিভোর অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী। নিয়মিত বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করলে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বাজার স্থিতিশীল করতে বাধ্য হবে। রাতারাতি দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে বহাল তবিয়তে রয়েছে একটি অসাধু সিন্ডিকেট চক্র।

নিচে কিছু দ্রব্যমূল্যের দাম তুলে ধরলাম- সয়াবিন তেল-২২০ টাকা৷ চাল প্রতি কেজি- ৫০/৬০ টাকা গরুর মাংস প্রতি কেজি- ৭০০/৭৫০ টাকা সবজি যেকোন প্রকার হোক – প্রতি কেজি- ৫০/৬০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি- ১৯০ টাকা ফলমূল প্রতি কেজি- ২৫০/৩০০ টাকা এসব মুল্যে সাধারণ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজন কিভাবে পরিবার চালাবে। অনেকে রিকশা, সিএনজি, ভ্যানগাড়ি চালায় দিন শেষে মালিক ইনকাম ও জ্বালানি খরচ বাদে ২/৩ শত টাকা ইনকাম করে। এই টাকায় সে বাজার খরচ করার সামর্থ্য নেই।

মধ্যেবিত্ত আবদুল আলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আর্দশের একজন সচেতন নাগরিক হয়ে আপনার কাছে অনুরোধ  আপনি পারবেন এর সমাধান দিতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, আমাদের বাজার স্থিতিশীল করে দু বেলা দু-মুঠো খাবার খাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করুন।