গোটা বিশ্বে ভোজ্য উদ্ভিদ রয়েছে সাত হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে খাদ্য হিসেবে গ্রহণের জন্য চাষ হয় মাত্র ৪১৭টি উদ্ভিদ। ২০৫০ সাল নাগাদ খাদ্যতালিকায় জায়গা করে নিতে পারে এমন কিছু উদ্ভিদের নাম প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে—

পান্ডানুস, কেয়া গাছ
পান্ডানুস (কেয়া গাছ)
প্যান্ডানুস (পান্ডানুস টেক্টোরিয়াস) একটি ছোট প্রজাতির গাছ। যা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে ফিলিপাইন এবং উপকূলীয় এলাকায় জন্মে।
পান্ডানুসের পাতা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অধিকাংশ অঞ্চলে মিষ্টি এবং সুস্বাদু খাবারে ব্যবহার করা হয়। এর ফল দেখতে অনেকটা আনারসের মতো, যা কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়। পান্ডানুস গাছ খরা, প্রবল বাতাস এবং লবণের স্প্রেসহ যেকোন চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ সহ্য করার ক্ষমতা রাখে- জানান এর গবেষণা ফেলো ড. মেরিবেল সোটো গোমেজ।
তিনি বলেন, এটি জলবায়ু সহনশীল এবং পুষ্টিকর খাদ্য সঙ্গে সুস্বাদুও। এটি আমাদের খাদ্য তালিকায় বৈচিত্র্য আনতে পারে। পান্ডানুস সংস্কৃতির সাথে জড়িত, পুষ্টিকর এবং সারা বিশ্বে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে উৎপাদন করাও সম্ভব।
শিম বা মটরজাতীয় বীজ
শিম বা ডালজাতীয় বীজও রয়েছে ‘ভবিষ্যতের খাদ্য’ তালিকায়। এগুলো তুলনায় সস্তা এবং প্রোটিন ও ভিটামিন-বিতে পরিপূর্ণ। এ ছাড়া সমুদ্র তীর থেকে শুরু করে পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত বড় পরিসরের পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে। সমগ্র বিশ্বে ২০ হাজার প্রজাতির শিম ও ডালজাতীয় বীজ রয়েছে। কিন্তু মানুষ শুধু সেগুলোর মধ্যে গুটিকয়েক ব্যবহার করে।
বুনো দানাদার খাদ্য
দানাদার খাদ্য আসে ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ থেকে। এর রয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি প্রজাতি। নতুন খাদ্য হিসেবে এর সম্ভাবনা অনেক। ফনিও নামে আফ্রিকার এক দানাদার খাদ্যের গাছ রয়েছে, যা পানীয় ও পরিজ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

কলার পাশে, এনসেট বা নকল কলা
নকল কলা
এনসেট বা ‘নকল কলা’ আদতে কলারই নিকটাত্মীয়। কিন্তু অনেক সম্ভাবনা থাকলেও শুধু ইথিওপিয়ার একটি অংশেই তা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
সূত্র : বিবিসি