কক্সবাজারে খেলাধুলার সামগ্রী নিয়ে হাজির পিএসজি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিশুদের জন্য উপহার পাঠিয়েছে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের ক্লাবটি। সেই সুন্দর মুহূর্তগুলো শোভা পাচ্ছে পিএসজির অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে।
একযুগ আগের এই ছবিগুলো বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে। ২০১১র সেপ্টেম্বরে এই বাংলায় পা পড়েছিলো, সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার- লিওনেল মেসির।
আর্জেন্টাইন গ্রেটকে সেদিন দেখতে ঢাকার রাস্তায় পড়েছিলো মানুষের ঢল, বিশ্বয় জাগানীয়া চোখে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে উপভোগ করেছিলো, আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচ।
আপনি মেসির ভক্ত নাই হতে পারেন, তবে বিশ্বসেরা ফুটবলারের বাংলাদেশ ভ্রমণের সেই স্মৃতিগুলো আপনার মনেও দাগ কাটতে বাধ্য, মনে মনে আপনিও গর্ববোধ করেন এটা নিশ্চিত। আর মেসিভক্ত যারা, তারা তো ক্ষুদে জাদুকরের ফুটস্টেপেই জীবনের আনন্দ খুঁজে নেন। প্রাণের বার্সেলোনা ক্লাব ছেড়ে আসা মেসির কান্নাভেজা সেই কণ্ঠে আপনারও চোখের কোনে জল জমেছে, পিএসজি জার্সিতে তার প্রথম গোলের আনন্দ ছুঁয়েছে আপনাকেও।
মেসিভক্তদের পিএসজি নিয়েও আছে উন্মাদনা, নেইমার-এমবাপ্পেদের ক্লাবটির প্রতি আছে ভালোবাসা। সেই ক্লাবটিই এবার তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে শেয়ার করেছে একটি ভিডিও। যেখানে জুড়ে আছে বাংলাদেশের নাম।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত শিশুদের খেলার মাঠে আনতে পাশে দাঁড়িয়েছে পিএসজি। দাতব্য প্রতিষ্ঠান ক্লাবু ও জাতিসংঘের রিফিউজি এজেন্সি ইউএনএইচসিআরের কোলাবরেশনে, রোহিঙ্গা শিশুদের উপহার দিয়েছে খেলাধুলার সামগ্রী।
গেলো মার্চ থেকে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে বেড়িয়েছে পিএসজির লোগো সম্বলিত একটি গাড়ি, এটা গাড়ি নয় যেনো আলাদ্দীনের জাদুর চেরাগ ছোট ছোট শিশুরা খেলার জন্য যা চাইছে তাই বেরিয়ে আসছে ভেতর থেকে বিভিন্নরকম বল, জার্সি আর জুতা।
শুধু উপহারেই শেষ হয়নি পিএসজির ভালোবাসা, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট, বাস্কেটবল খেলাও আয়োজন হয়েছে, দেয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ। স্কুলে স্কুলে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও খেলেছে ফুটবল-ক্রিকেটসহ আরো কত খেলা।
গতবছরই বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খেলাধুলা নিয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছিলো পিএসজি। মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেরা রোহিঙ্গা শিশুদের শয়নে স্বপনে তাদের কাছ থেকে দেখতে না পারলেও, তাদের পাঠানো উপহার লাখ-লাখ শিশুর মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
জীবনের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে বেরুনো এসব শিশুরাই হয়তো একদিন স্বপ্ন দেখবেন মেসি, নেইমার হওয়ার।