ঢাকাSunday , ১ মে ২০২২

ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এমএ খায়ের কাওসার

নিউজ পোর্টাল ২৪
মে ১, ২০২২ ১:৫৩ পূর্বাহ্ন
Link Copied!

ইমাম হোসেন হিমেল, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:: পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে মহিপুর থানাসহ দেশ ও দেশের বাইরে যারা অবস্থান করছেন সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এমএ খায়ের কাওসার।

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে এক বাণীতে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি।

মহিপুর থানার থানার অফিসার ইনচার্জ এমএ খায়ের কাওসার বলেন, আমি বিশ্ব মুসলিমের অব্যাহত সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করি।

মাসব্যাপী কঠোর সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের জীবনে এক স্বর্গীয় শান্তি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে ঈদ-উল-ফিতর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের উৎসব মুসলমানদের নিবিড় ভাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ করে। মাসব্যাপী রমজানের আত্মশুদ্ধির মহান দীক্ষার মধ্য দিয়ে আসে ঈদুর ফিতরের আনন্দঘন মূহুর্ত। দেশের বিদ্যমান ক্রান্তিলগ্নে সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঈদের আনন্দ নিজেদের ভাগ করে নিতে হবে। তাই ঈদুল ফিতরের শিক্ষা থেকে আমাদের অঙ্গীকার হোক সকল হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানি থেকে মুক্ত হয়ে ন্যায়, সাম্য, ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, দয়া, সহানুভুতি, মানবতা ও মহামিলনের এক ঐক্যবদ্ধ ও ভালোবাসাপূর্ণ সমাজ এবং দেশ গঠনের জন্য একযোগে কাজ করা।

মহিপুর থানার থানার অফিসার ইনচার্জ এমএ খায়ের কাওসার বলেন, পবিত্র এ দিনে বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে আমি এই কামনা করি। দূরে নয় হৃদয়ে সবই এক আপনজন। এ কথা স্মরণ হোক খুশীর প্রতিটি পলকে। সকল অফিসার, ফোর্স ও কোয়ার্টারে বসবাসরত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদ পালন করবো। ঈদের সময় নাড়ির টানে ঘরমুখো যাত্রীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন ঘনিষ্ঠজন, নিকটজনসহ সকলেই ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেবো। কোন অসহায় ও দুঃস্থ মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সেজন্য যারা সচ্ছল ব্যক্তি তারা যেন তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, যাতে নিরন্ন মানুষরাও ঈদের আনন্দের অংশীদার হতে পারে।

আনন্দের এই দিনে স্মরণ করছি আমি, আমাদের সেইসব স্বজনদের, যারা বিদায় নিয়েছেন পরপারে। বিশেষ করে মহামারি করোনা সংক্রমণে দেশে-বিদেশে অনেক প্রিয়জন ও সহকর্মী হারিয়েছি আমাদের। তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি আমি। আর বর্তমানে যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সহ নানা অসুস্থতায় জীবন যুদ্ধে লড়ছেন, তাদের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দ্রুত সুস্থতার দোয়া প্রার্থনা করছি।

শুভেচ্ছাবার্তায় মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ করে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এমএ খায়ের কাওসার বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের দিনে আমি স্মরণ করছি একাত্তরের মুক্তিসংগ্রামে আত্মদানকারী সকল শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশমাতৃকার তরে নিজেদের জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে তা জাতি আজও গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। তাদের পরিবারের প্রতিও জানাচ্ছি ঈদ শুভেচ্ছা।

তিনি আরও বলেন, প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে মানুষ নিজ কর্মস্থল থেকে ছুটে যাবে নিজ বাসগৃহে। প্রতি বছর দেখা যায়, ঈদের সময় বিভিন্ন চক্র, ছিনতাইকারী, পার্টির আবির্ভাব হয়। তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষকে বিপদে ফেলে। বিশেষ করে মলম পার্টি। ঈদের সময় এদের পাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। খাবারের মধ্যে নেশাজাতীয় বা চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে মানুষকে অজ্ঞান করে অর্থ, ফোন, প্রয়োজনীয় জিনিস হাতিয়ে নেয়। অনেক সময় রাস্তার পাশে ছিনতাইকারীরা ওত পেতে থাকে। এর সবচেয়ে বেশি শিকার হয় মেয়েরা। একলা হাঁটার সময় অথবা রিকশায় যাওয়ার সময় আচমকা পেছনে থেকে এসে ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। অনেকে ট্রেনে ভ্রমণের সময় ট্রেন দাঁড়ানো অবস্থায় জানালার পাশে বসে ফোন চালায়। এসময় ছিনতাইকারী বা বখাটেরা জানালার পাশ থেকে ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকে বাস বা ট্রেনের ছাদে যাতায়াত করেন। তাই যাত্রা পথে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবেন যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। এ ছাড়া অনেক চক্র আছে যারা জাল টিকেট বিক্রি করে, ভালো সিটের কথা বলে অনেক টাকা নেয় কিন্তু শেষে উঠিয়ে দেয় লক্কর-ছক্কর গাড়িতে। তাই এসব প্রতারণা থেকে সাবধান থাকবেন। যাত্রাপথে অপরিচিত কারও দেয়া খাবার পানাহার থেকে বিরত থাকুন।

আসুন সবাই মিলে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি যথা নিয়মে অনুসরণ করি। মাস্ক পরি। নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে হাত ধৌত করি। সকল আনুষ্ঠানিকতায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদ আনন্দ বিলিয়ে দেই সকলের ঘরে ঘরে, সেই প্রত্যাশায় অবিচল আমরা। সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি সকলের। পরিশেষে, ঈদে সবার জীবন হয়ে উঠুক আনন্দময় ও নিরাপদ, যাত্রা হোক নির্বিঘ্ন এটাই প্রত্যাশা।