ঈদুল ফিতরের আর কয়েকদিন বাকি। অনেকেই নাড়ির টানে শুধু ঢাকাই ছাড়ছেন না বিদেশ থেকেও ফিরছেন। একই সময়ে আবার অনেকেই সংসারের সুখের জন্য পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশে।
বিদেশ থেকে দেশে ফেরা আর দেশ থেকে বিদেশে যাওয়া মানুষগুলোর পরিবারে ঈদ এবার কেমন কাটবে? তাই জানার চেষ্টা করেছে প্রতিবেদক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তরুণ সুজন মিয়া, যাচ্ছেন ওমান। তার দুই হাতেই মেহেদি। ঈদে বাড়িতে থাকবে না, তাই ভাইকে মেহেদি দিয়ে ঈদের আনন্দ আগেই ভাগাভাগি করে নিলেন দুই বোন।
অন্যদিকে সুজনের ফ্লাইট রাত নয়টায়। যানজটের কারণে ঝুঁকি নিতে চাননি। তাই সকাল সকাল স্বজনদের নিয়ে আশ্রয় নেন বিমানবন্দরের সামনের এই বটতলায়। সুজনের মতোই টাঙ্গাইলের আবুল আর কুমিল্লার আলমগীর যাচ্ছেন বাহরাইন। বিদায় জানাতে আসা স্বজনরা জানালেন, তাদের ঈদ কাটবে নিরানন্দে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র তথ্য বলছে, বেশ কিছু দিন ধরে প্রতিমাসে গড়ে এক লাখ দশ থেকে বিশ হাজার পর্যন্ত তরুণ পাড়ি জমাচ্ছেন বিভিন্ন দেশে। যা আগে ছিল গড়ে ষাট থেকে সত্তর হাজার। আর গত দুই দিন ধরে যাচ্ছে পাঁচ হাজারের বেশি কর্মী।
ঈদের আগে শুধু যে তরুণরা বিদেশে যাচ্ছেন তাই-ই নয়। পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ উদযাপনে বিদেশ থেকে আসছেনও অনেকে। সাত বছর পর বাহরাইন থেকে দেশে ফেরা বাবার জন্য বিমানবন্দরে তাই অপেক্ষায় মেয়ে ফারিয়ার মতো অনেকেই।
এই প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থের একটি বড় অংশ যেমন তাদের পরিবারে আনছে স্বচ্ছলতা, তেমনি ঘুরছে দেশের অর্থনীতির চাকা।