অনেক হলো ডিজিটাল ম্যারেজ এবার একটু থামি… – News Portal 24
ঢাকাThursday , ৩১ মার্চ ২০২২

অনেক হলো ডিজিটাল ম্যারেজ এবার একটু থামি…

নিউজ পোর্টাল ২৪
মার্চ ৩১, ২০২২ ১১:৫৩ অপরাহ্ন
Link Copied!

আইরিন রহমান:: শুভ বিবাহ বনাম Digital wedding event…। আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো প্রায় একই রকম মনে হয়, যেন এক একটি ডিজিটাল প্যাকেজ। প্রবেশমুখে বিশাল ফুলের নকশা থেকে শুরু করে রঙিন আলো ও স্টেজ সাজানোর বাহার, সবকিছুতেই থাকে বাড়তি চমক, এটুকু তাও ঠিক আছে। খাবারের ম্যেনুতেও থাকে বাহারি ও রকমারি আয়োজন, সেটাও ঠিক আছে।

সবচেয়ে বিপত্তি টা ঘটে তখনি যখন পাত্র-পাত্রীর মায়ের সাথে দেখা হয় এবং তিনি অত্যন্ত আনন্দে নিয়ে পাত্রীর সাথে পরিচয় ও ছবি তুলতে আহ্বান জানান।
স্টেজে দুই সিড়ি উঠতেই থেমে যান, সর্বজান্তা কিছু ফটোগ্রাফার ও ভিডিও ম্যান যারপরনাই তাদের কারিশমা দেখাতে এতটাই ব্যস্ত থাকেন। পাত্রীকে নানা ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে, বসে, আলো-আঁধারে, ওড়না তুলে মুখ গগনমুখী করে শত শত ছবি তুলতে বেশ দিশেহারা হয়ে যান- যাতে আমরা অতিথি বা পিতা-মাতাও বিব্রত বোধ করেন। আর মা তখন অসহায়ভাবে বলেন বুঝেনতো আপা/ভাবি ডিজিটাল যুগ বলে কথা! ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকে ও তো খুব অ্যাকটিভ!!

আমরাও বলি জ্বি ভাবি, তাইতো… নতুন যুগ।

এরপর কিছু জনসমাগমের ধাক্কায় খাবার টেবিলে পৌঁছে যাওয়া (কাচ্চি বিরিয়ানি ও বোরহানি, এটাই এখনকার রীতি)। কোনরকম এসময়টুকু পেরিয়ে হিজিবিজি ধাক্কায় মোটামুটি গাড়ি অবধি পৌঁছে যাওয়া। জ্যাম পেরিয়ে বাসায় যখন আসবেন রাত দ্বিপ্রহর ছুঁই ছুঁই। মনে মনে ভাববেন বিয়েতে গিয়েছি ভালোই হয়েছে না গেলেও মন্দ হতো না।

তবে গতকাল ছিল কিছুটা ব্যতিক্রম… পাত্রীর বাবা খুব পরিচিত মহলের বাইরে কাউকে নেমন্তন্ন করেননি। ফটোগ্রাফারের তেমন কোন কারিশমা চোখে পড়েনি, কিছুতেই নেই বাড়তি কোন বাড়াবাড়ি। তবে বিদায়ক্ষণে সহাস্যে প্রত্যেক মেহমানকে বলেছেন, ‘আপনারা সময় নিয়ে শুভেচ্ছা দিতে এসেছেন, খুব খুশি হয়েছি- অনেক দোয়া রইলো, আপনারাও আশীর্বাদ করবেন। ’ মনে হলো হয়তো তাঁদের ভাবনায় ছিলো…
অনেক হলো ডিজিটাল ম্যারেজ এবার একটু থামি, পুরানো সেই সহজ প্রথা আবার ডেকে আনি।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)