শেরপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী আলমগীরকে ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকালে আলমগীরের উপস্থিতিতে সাজার আদেশ দেন শেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন। বিচারক তার রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের সাজার আদেশ দেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার বিলভরট গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে আলমগীরের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী বানিয়াপাড়া গ্রামের জাম্বিল মিয়ার মেয়ে জান্নাত বেগমের (২৫) সঙ্গে। তাদের একটি সন্তান রয়েছে। আলমগীরের সঙ্গে এক নারীর অনৈতিক সর্ম্পক ছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল।
২০১৬ সালের ৯ মার্চ রাতে আলমগীর হোসেনের বসতঘরে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরদিন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। কিন্ত কিছুদিন পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যায় জান্নাতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
ওই বছরের ৩ মে জান্নাতের বাবা তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগে শ্রীবরদী থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ আলমগীরকে গ্রেফতার করে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আলমগীর জানায় পরকীয়া সর্ম্পকের জেরে সে তার ভাবি রাবেয়া বেগমের সহায়তায় স্ত্রীকে হত্যা করেছে। পরে তদন্ত শেষ করে ওই বছরের ৩০ নভেম্বর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন দেবর ও ভাবির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল বলেন, বিচারিক পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এতে আলমগীর তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তার ভাবিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।