১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ফাঁদে ফেলে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে একত্রে বসবাস করায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হওয়া মামলায় রফিক মিয়া নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানা পুলিশ সোমবার রাত ৯টার দিকে তাকে বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের দাতিয়াপাড়া থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় ওই কিশোরীকেও তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে রফিক মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার রফিক বয়াতী ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বড়খলা গ্রামের মৃত হেকমত আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, রফিক কিশোরীকে এলাকায় ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তিনি পেশায় বয়াতী। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাজী-কালুর গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গান গাওয়ার ছলে তরুণী, কিশোরীসহ নারীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলতেন। তারপর নিয়মিত যাতায়াত করতেন ওই নারীদের বাড়িতে। বয়াতীর কথায় যেসব নারী বা কিশোরী ফাঁদে পা দিয়েছেন তারাই হারিয়েছেন সর্বস্ব।
পুলিশ আরও জানায়, সম্প্রতি ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে রফিক মিয়া ফাঁদে ফেলে অন্য জায়গায় নিয়ে যান। পরে সেখানে তারা বসবাস শুরু করেন। এরপর কিশোরীর বাবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। পরে পুলিশ রফিক মিয়াকে গ্রেফতার করে।
মধ্যনগর থানার ওসি নির্মল চন্দ্র দেব বলেন, রফিক আরও অনেকের সঙ্গেই এমন করেছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।