পরপর দুবার কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন স্ত্রী। এ অপরাধে তার ওপর নারকীয় অত্যাচার শুরু করে স্বামী। মারধর তো আছেই। তার সঙ্গে যৌনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি ভারতের পূর্ব বর্ধমানের বাঘনাপাড়ার বিজারা এলাকায় পাশবিক নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় ওই মহিলা কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পরিবার সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে তৌফিক শেখ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ওই মহিলার বিবাহ হয়েছিল। বিয়ের পর তাদের দুটি কন্যাসন্তান হয়। এরপরই শুরু হয় পাশবিক অত্যাচার। কেন পুত্র সন্তান হয়নি এই প্রশ্ন তুলে অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতা ওই নারী বলেন, ‘আমার দুটো মেয়ে হয়েছে বলে আমাকে মারধর করে আমার স্বামী। শরীরের মধ্যে লাঠি ঢুকিয়ে দেয় স্বামী। বুকের উপর চেপে বসে থাকবে। বালিশ চাপা দেয় মুখে। পুত্রসন্তান হয়নি বলে অত্যাচার করে। সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেয়। এক বছর ধরে অত্যাচার করছে। গলায় দড়ি দিয়ে টাঙিয়ে দিতে চাইছে। মদ খেয়ে এসে মারধর করে।’
তার বাবার দাবি, ‘আমার মেয়ের দুটোই কন্যা সন্তান হয়েছে। সেকারণেই তার উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আমার জামাই ভয়াবহ অত্যাচার করে। মেয়েকে ফের মারধর করা হয়েছে খবর পেয়ে এদিন আমি ওর শ্বশুরবাড়িতে যাই। জিজ্ঞাসা করি কেন ডাক্তার দেখাওনি। এরপর নিজেই হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস